বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সার চায় বাংলাদেশ, আম চাইল রাশিয়া

  •    
  • ১৮ আগস্ট, ২০২১ ১৫:৩৫

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি বলেন, ‘বাংলাদেশের আম অত্যন্ত সুস্বাদু ও উন্নত মানের। রাশিয়ায় এ আম রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আম নিতে রাশিয়ার আগ্রহ রয়েছে।’

রাশিয়া থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ডিএপি ও পটাশিয়াম সার আনতে চায় বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

অন্যদিকে বাংলাদেশের আমের সুনাম করে নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি।

কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সচিবালয়ে সাক্ষাৎকালে দুই পক্ষ এ আগ্রহ ব্যক্ত করে।

এ সময় বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) ড. এ কে এম মুনিরুল হক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শরীফা আহমেদ, ঢাকার রাশান দূতাবাসের অ্যাটাচে খানুভা আমাতুলা উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে কৃষকদের ডিএপি সার ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার চার দফা সারের দাম কমিয়েছে। ডিএপির দাম ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে কেজিপ্রতি ১৬ টাকা করেছে। এতে ডিএপি সারের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

‘আমরা রাশিয়া থেকে ডিএপি ও পটাশিয়াম আমদানি করতে চাই এবং এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে চাই।’

২০১৩ সাল হতে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ জিটুজি ভিত্তিতে এমওপি সার আমদানি করছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাতে রাশান রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি। ছবি: সৌজন্যে

এ ছাড়া কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে রাশিয়াকে আলু রপ্তানির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘আলুকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশে এখন অনেক উন্নত মানের আলু উৎপাদিত হচ্ছে। রাশিয়া আলু আমদানি পুনরায় শুরু করতে পারে।’

আলুতে ব্রাউনরট রোগের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে আলু রপ্তানিতে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। রাশান রাষ্ট্রদূত আলু আমদানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। স্বাধীনতাসংগ্রামের শুরু থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।’

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি বলেন, ‘বাংলাদেশের আম অত্যন্ত সুস্বাদু ও উন্নত মানের। রাশিয়ায় এ আম রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আম নিতে রাশিয়ার আগ্রহ রয়েছে।’

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও রাশিয়া প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি।

এ বিভাগের আরো খবর