বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কনটেইনার খালাস নিতে হবে দ্রুত: বন্দর চেয়ারম্যান

  •    
  • ১৭ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৪৩

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমদানি কনটেইনার বন্দরে আসার পর যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে যেতে হবে। কনটেইনার বন্দরে পড়ে থাকলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর কোথাও এফসিএল কনটেইনার বন্দর থেকে খালাস হয় না। তারপরও আমরা এটি অ্যালাও করি। যত কম সময়ে কনটেইনার খালাস হবে, বন্দরের কাজের গতি তত বেশি হবে।’

আমদানিকারকরা কনটেইনার দ্রুত খালাস নিলে বন্দরে জট হওয়ার কোনো শঙ্কাই নেই। সম্প্রতি এ ধরনের কোনো সংকট তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।

মঙ্গলবার দুপুরে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে সংগঠনটির ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বন্দর চেয়ারম্যানের মতবিনিময় হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে রপ্তানি কনটেইনারের সংকট ও রপ্তানি প্রক্রিয়া দ্রুত করার বিষয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের কাজ হলো ২৪ ঘণ্টা সেবা দেয়া। সেটি আমরা করোনার সময়ও দিয়ে আসছি। আমাদের ধ্যানে-মনে থাকে স্টেকহোল্ডারদের সেবা দেয়া। কনটেইনারের বৈশ্বিক সংকটে রপ্তানি বাণিজ্য যখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল, তখন আমরা সব পক্ষ নিয়ে আলোচনা করে সমাধান বের করার চেষ্টা করেছি, চিঠি দিয়েছি। এর ফলে সুফল মিলেছে। এখন রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়ে আসছে।’

বিজিএমইএ নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমদানির কনটেইনার বন্দরে আসার পর যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে যেতে হবে। কনটেইনার বন্দরে পড়ে থাকলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর কোথাও এফসিএল কনটেইনার বন্দর থেকে খালাস হয় না। তারপরও আমরা এটি অ্যালাও করি। তাই যত কম সময়ে কনটেইনার খালাস হবে, বন্দরের কাজের গতি তত বেশি হবে।’

তিনি বিজিএমইএ নেতাদের সমুদ্রপথে ক্রেতা দেশগুলোর সরাসরি জাহাজ চালুর বিষয়ে এমএলওদের সঙ্গে আলোচনা, বায়ারদের পণ্য পরিবহনে নির্দিষ্ট শিপিং লাইন নির্ধারণ না করা এবং ২৪ ঘণ্টা কাট অফ টাইমের মধ্যে পণ্য বন্দরে পৌঁছানোর অনুরোধ করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘করোনা শুরুর আগে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে আমাদের রপ্তানি ছিল ৩৪ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তা ৬ বিলিয়ন ডলার কমে হয়েছে ২৮ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ অর্থবছরে এ খাত কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রপ্তানি হয়েছে ৩৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। সরকারের সহযোগিতা ও চট্টগ্রাম বন্দরের নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার ফলেই আমরা এটি অর্জন করতে পেরেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা সমাধানে আমরা শিপিং লাইন ও বায়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর এদেশীয় প্রধানদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। যাতে কোনো একটি শিপিং লাইনকে পণ্য পরিবহনে নির্দিষ্ট করে দেয়া না হয়। বায়াররা ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের কনটেইনারে পণ্য রপ্তানি চান, সেটি যেন ২০ ফুট কনটেইনারেও করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা চলছে।’

তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো জট নেই বলে বিভিন্ন দেশের বায়ারদের অবগত করেছেন বলেও জানান।

বন্দর ভবনের সম্মেলনকক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। ছবি: নিউজবাংলা

মতবিনিময় সভার শুরুতে বন্দরের বর্তমান কার্যক্রমের ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম।

তিনি জানান, ১ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত অন অ্যারাইভল বার্থিং পাচ্ছে কনটেইনারবাহী জাহাজ। কনটেইনারবাহী জাহাজ না থাকায় কার্গোবাহী জাহাজের পণ্যও খালাস করা হচ্ছে কনটেইনার জেটিতে। যেখানে কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরে বার্থিং করতে ৭ দিন, চীনে ১০ থেকে ১২ দিন ও আমেরিকার বন্দরগুলোতে ২০ থেকে ২২ দিন লাগছে।

তিনি আরও জানান, ১৮ জুলাই বেসরকারি আইসিডিগুলোতে রপ্তানি কনটেইনার ছিল ১৭ হাজার ৯৬টি আর খালি কনটেইনার ছিল ২৮ হাজার ২৯৬টি। সেখানে ১৫ আগস্ট এ সংখ্যা কমে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৬০টিতে আর খালি কনটেইনার আছে ৪০ হাজার ১০টি।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক প্রথম সহসভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী , মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টু ও সাবেক পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর এম নিয়ামুল হাসান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস রেজা, সচিব ওমর ফারুক, প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আমিনুল ইসলাম ও টার্মিনাল ম্যানেজার মো. কুদরত ই-খুদা মিল্লাত।

এ বিভাগের আরো খবর