বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দ্রুত রিফান্ড অথবা পণ্য চান ই-অরেঞ্জ গ্রাহকরা

  •    
  • ১৭ আগস্ট, ২০২১ ১৭:১২

রাহাত হোসেন খান নামে এক গ্রাহক জানান, তাদের অর্ডারের প্রায় ৯০ শতাংশই বাইক, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এখন বাইক সরবরাহ করছে না। নতুন করে আরও ৪৫ থেকে ৬০ দিন সময় চাচ্ছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে নিজেদের অর্ডার করা পণ্য অথবা টাকা ফেরত চেয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ অনলাইন শপের গ্রাহকরা।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।

ই-অরেঞ্জের ভুক্তভোগী বাইক ও ভাউচারের ক্রেতাবৃন্দ ব্যানারে মানববন্ধন থেকে অনলাইন শপটির মালিকপক্ষের বিদেশযাত্রা স্থগিত করার দাবি জানানো হয়।

দ্রুত পণ্য হাতে পাওয়ার অথবা অর্ডার করা পণ্যের টাকা ফেরত পেতে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।

রাহাত হোসেন খান নামে এক গ্রাহক জানান, তাদের অর্ডারের প্রায় ৯০ শতাংশই বাইক, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এখন বাইক সরবরাহ করছে না। নতুন করে আরও ৪৫ থেকে ৬০ দিন সময় চাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এপ্রিলে সামার ভাউচার কিনেছি, এখন আগস্ট চলে আসছে। তারা বলছে আরও দুই মাস সময় লাগবে, অথচ ৪৫ দিনের মধ্যেই পণ্য দেয়ার কথা ছিল।’

মো. সবুজ নামের আরেকজন জানান, শুরু থেকেই ই-অরেঞ্জ বিভিন্ন ভাউচারের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করছে। এ ক্ষেত্রে ১ লাখ টাকার ভাউচার কিনে ২ লাখ টাকার পণ্য কেনার সুবিধা দেয়া হয়।

সবশেষ এই বছর করোনার কারণে দেয়া শাটডাউনের আগে সামার ভাউচারের মাধ্যমে তারা ক্যাম্পেইন চালায়। এতে অনেক গ্রাহক পণ্যের অর্ডার করেন। যার বেশির ভাগই ছিল বিভিন্ন ধরনের মোটরসাইকেল। তবে তারপর থেকেই পণ্য সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তারা বলেছিল এই অর্ডারের পণ্যগুলো ঈদের আগে যে পাঁচ কার্যদিবস শটডাউন শিথিল করা হচ্ছিল তখন সরবরাহ করবে, কিন্তু পারেনি। এরপর আরও তিন দফা তারিখ দেয়া হলেও তারা পণ্য সরবরাহ করছে না।

‘এখন বলছে তারা বাইক দিতে পারবে না। যাদের সঙ্গে তাদের চুক্তি ছিল, তারা বাইক সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এখন নিজেরা আমদানির মাধ্যমে বাইক আনবে, তবে তার জন্য কমপক্ষে ৬০ দিন সময় লাগবে।’

আরেক গ্রাহক রনি বলেন, ‘আমি ও আমার বন্ধু দুজনে দুটি বাইক অর্ডার করেছি, কিন্তু চার মাসেও তা হাতে পাইনি। অনেকে আবার বিভিন্ন লোক থেকে টাকা ধার করে এখানে বিনিয়োগ করেছে ব্যবসার উদ্দেশ্যে।

‘তারা অনলাইন থেকে বাইক কিনে কিছু লাভ করে আবার অন্যদের কাছে বিক্রি করে। এ ধরনের গ্রাহকরা এখন খুব সমস্যার মধ্যে আছে। কাউকে টাকাও দিতে পারছে না, আবার বাইকও দিতে পারছে না।’

কে এম জামান নামে আরেক গ্রাহক বলেন, ‘ই-অরেঞ্জ গ্রাহকরা গতকাল গুলশান থানায় মামলা করেছিল। তাদের আজ আবার গুলশান থানায় ডাকা হয়। বড় ভাইয়েরা আমাদের প্রেস ক্লাবের সামনে অপেক্ষা করতে বলেছেন।’

বিকেল ৫টার দিকে জামান জানান, গুলশান থানা থেকে তাদের বলা হয়েছে, সেখানে আন্দোলন করা গ্রাহকরা কত টাকার অর্ডার দিয়েছেন তার একটি তালিকা করে থানায় জমা দিতে। তারা এখন সেই তালিকা করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর