ব্যাংকের বিনিয়োগ তদারকির জন্য এবার দৈনিক ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোর মুদ্রাবাজারের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতিদিনের তথ্য বিকেল ৫টার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগে পাঠাতে হবে। নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারিসহ দৈনিক কোথায় কী পরিমাণ বিনিয়োগ হচ্ছে তাও জানাতে হবে।
বৃহস্পতিবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীকে চিঠি দিয়ে এমন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিভিন্ন কারণে ব্যাংকগুলোর হাতে প্রচুর তারল্য থাকলেও আশানুরূপ ঋণ না বৃদ্ধির কারণে অলস টাকার স্তূপ বেড়েই চলছে। গত জুন শেষে ব্যাংকগুলোর তারল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩১ হাজার কোটি। এর মধ্যে একদম অলস টাকা ৬২ হাজার ৫০০ কোটি। উদ্বৃত্ত তারল্য যেন অনুৎপাদনশীল খাতসহ ঝুঁকিপূর্ণ খাতে চলে না যায় সেজন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চিঠিতে লেনদেনের তথ্য পাঠানোর জন্য ছক সংযুক্ত করা হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিদিনের নিজস্ব বিনিয়োগের তথ্যও পাঠাতে হবে। যেখানে নতুন বিনিয়োগ, মোট বিক্রয়মূল্য (সেল ভ্যালু) ও নেট এক্সপোজার পাঠাতে হবে। প্রতিদিনের মার্জিন ঋণের পরিমাণ, স্থিতি ও সমন্বয় জানাতে হবে। এ ছাড়া, নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারিতে প্রতিদিনের ঋণসীমা, তহবিল ছাড়, তহবিল সমন্বয় এবং নেট এক্সপোজারের তথ্য দিতে হবে।
করোনা সংক্রমণের প্রভাব মোকাবিলায় সরকারি প্রণোদনার আওতায় কম সুদের ঋণের একটি অংশ যথাযথ খাতে ব্যবহার না হয়ে কিছু ঋণ অনুৎপাদনশীল খাতে যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রণোদনা ঋণের টাকা নিয়ে ঋণগ্রহীতার আগের ঋণের দায় পরিশোধ করা হচ্ছে। ঋণের এমন অপব্যবহার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে গত ২৫ জুলাই সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়।
এ ছাড়া, প্রণোদনার আওতায় ঋণের ব্যবহারসহ বিভিন্ন তথ্য চেয়ে পরবর্তীতে আরও একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঋণের সঠিক ব্যবহার যাচাইয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সর্বশেষ দৈনিক ভিত্তিতে মুদ্রাবাজারে লেনদেন ও বিনিয়োগের তথ্য নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।