বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংবাদিক রোজিনার ব্যাংক হিসাব তলব

  •    
  • ১১ আগস্ট, ২০২১ ২৩:০১

রোজিনার নামে কোনো ব্যাংকে হিসাব থাকলে অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, কবে খোলা হয়েছে, জমা, উত্তোলনসহ লেনদেন বিবরণী, অ্যাকাউন্টের স্থিতিসহ যাবতীয় তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ‘তথ্য চুরির’ মামলায় জামিনে থাকা আলোচিত সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে বুধবার সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে তার হিসাবের লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়।

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম রোজিনা আক্তার রয়েছে। পিতা মৃত মুসলিম মিয়া এবং মা মোছা. তাসলিমা বেগম। স্থায়ী ঠিকানায় উল্লেখ রয়েছে, গ্রাম কুন্দীহার, ডাকঘর ও থানা বানারীপাড়া, জেলা বরিশাল।

রোজিনার নামে কোনো ব্যাংকে হিসাব থাকলে অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, কবে খোলা হয়েছে, জমা, উত্তোলনসহ লেনদেন বিবরণী, অ্যাকাউন্টের স্থিতিসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে বিএফআইইউ-এর চিঠিতে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএফআইইউ-এর এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চিঠিতে রোজিনা আক্তারই প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম, যিনি কিছুদিন আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম আছে রোজিনা আক্তার। পিতা ও মাতার নাম একই আছে।

‘আমরা কারো ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্রে যে নাম আছে, সেই নামের তথ্যই চাই। কেননা, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া এখন আর কারো কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই।’

গত ১৭ মে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা এবং নির্যাতনের পর ওইদিন রাতে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৮ মে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ তাকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে। আদালত রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবিতে দেশজুড়ে সাংবাদিকরা প্রতিবাদ ও আন্দোলন করেন। এরপর গত ২৩ মে পাঁচ হাজার টাকার বন্ডে মুচলেকা এবং পাসপোর্ট জমা দেয়ার শর্তে জামিন দেয় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

ওই দিনই গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান রোজিনা।

বিএফআইইউ-এর চিঠিতে রোজিনা আক্তার ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব অতীতে অথবা বর্তমানে পরিচালিত হয়ে থাকলে সেসব হিসাবের যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বুধবার রাত ১১টার দিকে রোজিনা ইসলামের মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি ধরেননি। কল রিসিভ করেন তার স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে ও (রোজিনা) এখনও কিছু জানে না। অফিস থেকে এসেই ও অসুস্থতা বোধ করছিল, ঘুমিয়ে পড়েছে। আমরা যা জেনেছি সংবাদমাধ্যম থেকেই। আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা কিছুই জানিনা।’

এ বিভাগের আরো খবর