বেসরকারি বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় খাতভিত্তিক কত টাকা জব্দ হয়েছে তা সাতদিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির মামলায় ব্যাংকটির শান্তিনগর শাখার সাবেক ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর জামিন আবেদনের শুনানির সময় আদালত দুদক আইনজীবীর প্রতি এ নির্দেশ দেয়।
আদালতে জামিন আবেদনকারি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, বেসিক ব্যাংকের এখন পর্যন্ত খাতওয়ারি কত টাকা জব্দ হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন জানান, বেসিক ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার সাবেক ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাতটি মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত আজকে দুটি মামলায় জামিন দিয়েছেন। আর পাঁচটি মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি এক সপ্তাহ মুলতবি করেছেন আদালত। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৮ আগস্ট দিন ধার্য রাখা হয়েছে। এ সময় দুদকের আইনজীবীকে কত টাকা জব্দ হয়েছে সেটিও জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা রয়েছে।
আলোচিত বেসিক ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ৫৬টি মামলা করে দুদক, যেখানে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। ওই সব মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামসহ আসামির সংখ্যা শতাধিক।
এর মধ্যে শান্তিনগর শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. আলী ওরফে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধেও মামলা হয়।