বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রশ্নের জবাব দিতে ইভ্যালিকে তিন সপ্তাহ সময়

  •    
  • ১১ আগস্ট, ২০২১ ১৭:১৯

এর মধ্যে গ্রাহকের পাওনাসংক্রান্ত তথ্যের জন্য সাত দিন, সম্পদের দায়দেনাসংক্রান্ত তথ্যের জন্য পাঁচ দিন এবং মার্চেন্টদের কাছে পাওয়াসংক্রান্ত বিষয়ের জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জানতে চাওয়া ছয় প্রশ্নের জবাব দিতে ই-কমার্স সাইট ইভ্যালিকে তিন সপ্তাহ সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে গ্রাহকের পাওনাসংক্রান্ত তথ্যের জন্য সাত দিন, সম্পদের দায়দেনাসংক্রান্ত তথ্যের জন্য পাঁচ দিন এবং মার্চেন্টদের কাছে পাওনাসংক্রান্ত বিষয়ের জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে ইভ্যালিকে সব বিষয়ে সঠিক ও নির্ভুল তথ্য দিতে হবে। তাদের দেয়া তথ্য কতটা সঠিক তা যাচাই করা হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং রেজিস্টার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানির (আরজেএসসি) কাছে থাকা তথ্যের সঙ্গে।

বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বাংলাদেশ শাখার প্রধান হাফিজুর রহমান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের আমদানি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফীকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৯ জুলাই ইভ্যালিকে চিঠি দিয়ে কাস্টমারদের কাছ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত নেয়া মোট অর্থের পরিমাণ এবং ওই সময় পর্যন্ত মার্চেন্টদের কী পরিমাণ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে সে তথ্য জানতে চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে বকেয়ার পরিমাণ কত এবং সেগুলো পরিশোধের পরিকল্পনা ১০ দিনের মধ্যে জানাতে বলে মন্ত্রণালয়।

প্রশ্নগুলোর জবাব দেয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ফের চিঠিতে ছয় মাস সময় চেয়েছিল আলোচিত ই-কমার্স সাইটটি। গত ১ আগস্ট ইভ্যালির পাঠানো ওই চিঠি গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়।

ইভ্যালির সময় চাওয়ার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ৯ সদস্যের আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত দেয়ার কথা জানানো হয়। সে অনুযায়ী বুধবার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির বৈঠক হয়।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য-প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে হাফিজুর রহমান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে ইভ্যালির দায় ৪০৭ কোটি টাকা এবং এর বিপরীতে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার মূলধনের অস্তিত্ব মেলে। এই পরিস্থিতিতে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের দেনা-পাওনার ভবিষ্যত কী হবে সেটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে ওই সময় ইভ্যালির কাছে ৬ প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়। আমরা যে প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে চেয়েছিলাম তা পেলে ইভ্যালির সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যেত। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিয়ে ৬ মাস চেয়েছে।’

হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বৈঠকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এসেছে, ইভ্যালিকে সর্বোচ্চ তিন সপ্তাহ সময় দেয়ার। তারই আলোকে জানাচ্ছি, মন্ত্রণালয়ের ছয় প্রশ্নের উত্তর দিতে ইভ্যালিকে সর্বোচ্চ তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হলো। এক্ষেত্রে ইভ্যালির কাছে গ্রাহকের পাওনা সংক্রান্ত তথ্য দিতে সর্বোচ্চ ৭ দিন, ইভ্যালির মোট সম্পদ ও দায়ের পরিমাণ জানাতে ৩-৫ দিন এবং মার্চেন্টদের কাছে দেনার পরিমাণ জানাতে তিন সপ্তাহ সময় পাবে তারা।’

ইভ্যালিকে চিঠি পাঠানোর দিন থেকে এই সময় গননা শুরু হবে জানিয়ে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবারই চিঠি তিনটি পাঠানো হবে বলে আশা করছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজুর জানান, ইভ্যালি অনলাইনে বিজনেস করে। তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে কত টাকা নিল, কতো টাকার পণ্য ডেলিভারি করল, সেসব হিসাব ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ হওয়ার কথা। তাই তাদের সম্পদ ও দায়, ক্রেতাদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ ও ক্রেতাদের বকেয়া অর্ডারের পরিমাণের তথ্য দিতে এর চেয়ে বেশি সময় লাগার কথা নয়।

তিনি বলেন, মার্চেন্টদের দেনা-পাওনার হিসাব হয়তো ম্যানুয়ালি হতে পারে। সেজন্যই মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালির দেনার তথ্য জানাতে বেশি সময় দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইভ্যালি তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে কমিটি আবারও বৈঠক করে তাদের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

মিডল্যান্ড ব্যাংকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টজনিত ঝামেলার কারণে ক্রেতাদের রিফান্ড দিতে ইভ্যালির সমস্যা হচ্ছে- এ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজুর রহমান বলেন, সেটা ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ব্যাপার। ব্যাংকের সঙ্গে ইভ্যালির কোনো সমস্যা থাকলে, তা তাদেরই সমাধান করতে হবে।

প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই অতিরিক্ত সচিব ভোক্তাদেরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে ইভ্যালিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তরে দ্রুত মামলা করারও নির্দেশনা দেন তিনি।

হাফিজুর রহমান বলেন, ‘পাওনাধারী মার্চেন্টদেরও উচিত হবে ইভ্যালির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া। তাহলে ইভ্যালিতে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রকৃত সংখ্যা কত ও দাবিদার কারা মন্ত্রণালয় বুঝতে পারবে। তবে আমরা শিগগিরিই ভোক্তাদের সতর্ক করে সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।’

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বুধবার পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ইভ্যালির বিরুদ্ধে ৬৭৫৭টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৪১৬৫টি। বাকিগুলো নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর