করোনা মহামারির বছর ২০২০ সালে জনতা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। পাশাপাশি কমেছে খেলাপি ঋণ। ফলে ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিংনের মান একধাপ উন্নীত হয়েছে।
সোমবার ব্যাংকের ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ।
পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. এস. এম. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ ভার্চুয়ালি সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ মোল্লাসহ পরিচালকরা যুক্ত ছিলেন।
শুরুতে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সভায় ব্যাংকের এমডি আব্দুছ ছালাম আজাদ ২০২০ সালের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও আর্থিক সূচকগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে ব্যাংকিং খাতে আমানতের গড় প্রবৃদ্ধি ১৩.১২ শতাংশ। সেখানে জনতা ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি ১৯.১৮ শতাংশ। সার্বিক ঋণ ও অগ্রিম গড় প্রবৃদ্ধি ৮.৮১ শতাংশ, জনতা ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি ১০.৩৭ শতাংশ। ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিংয়ের মান একধাপ উন্নীত হয়েছে। পরিচালন মুনাফা ২৭২ কোটি টাকা বৃদ্ধি এবং শ্রেণিকৃত ঋণ কমেছে ৮৬৭ কোটি টাকা।’
আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আহরণে জনতা ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চলমান কোভিড মহামারিতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সত্ত্বেও ‘ফ্রন্ট ফাইটার’ হিসেবে ব্যাংকিং সেবা সচল রেখেছেন।’
ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এস এম মাহফুজুর রহমান তার বক্তব্যে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত, তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, কার্যকর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও সব পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় ব্যাংকের পরিচালক অজিত কুমার পাল, মেশকাত আহমেদ চৌধুরী, কে এম শামছুল আলম, মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন, বোর্ডের পর্যবেক্ষক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির, ব্যাংকের ডিএমডি মো. জসিম উদ্দিন ও মো. আব্দুল জব্বার, এ কে এম শরীয়ত উল্যাহ, কোম্পানি সচিব মো. হাবিবুর রহমান গাজীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।