বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারত থেকে ‘নিম্নমানের’ চাল, খালাস বন্ধ

  •    
  • ৭ আগস্ট, ২০২১ ১৬:২৭

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণত চালের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ শতাংশ মরা, বিনষ্ট ও বিবর্ণ গ্রহণের বিধান থাকলেও জাহাজে থাকা চালে এর পরিমাণ অনেক বেশি।’

ভারত থেকে আমদানি করা চালের মধ্যে মরা, নষ্ট ও বিবর্ণ দানার পরিমাণ বেশি হওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে চাল খালাস বন্ধ করে দিয়েছে খাদ্য বিভাগ।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) জহিরুল ইসলাম শনিবার দুপুরে আমদানি করা নিম্নমানের চালের কথা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্যসংকট মোকাবিলায় খাদ্য মন্ত্রণালয় জি টু জি (সরকার টু সরকার) চুক্তির আওতায় ভারত থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। এর আওতায় এমডি ড্রাগন নামে একটি জাহাজে ১৯ হাজার ২০০ টন চাল আনা হয়। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার টন চাল খালাস করার পর বৃহস্পতিবার চালের নিম্নমানের বিষয়টি খাদ্য বিভাগের নজরে আসে। তখন চাল খালাস বন্ধ করে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘সাধারণত চালের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ শতাংশ মরা, বিনষ্ট ও বিবর্ণ গ্রহণের বিধান থাকলেও জাহাজে থাকা চালে এর পরিমাণ অনেক বেশি। এর মধ্যে বিষয়টি খাদ্য মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। নিম্নমানের চালগুলো ভারতে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

জহিরুল ইসলাম আরও জানান, ভারত থেকে আরেকটি জাহাজে আতপ চালও এসেছে। সেগুলোতে কোনো সমস্যা না থাকায় খালাস চলছে। সমস্যা শুধু ভাতের চালে।

চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২২ জুলাই ভারত থেকে ১৯ হাজার ২০০ টন চাল নিয়ে ‘এমভি ড্রাগন’ নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ওই চাল সরবরাহ করেছে ভারতের ‘ট্রিটন লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ভেড়ার পর খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা চাল খালাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন।

১ আগস্ট খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমদানি করা চালের নমুনা সংগ্রহ করেন। এরপর তা ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়।

গুণগত মান ভালো ও খাওয়ার উপযোগী হিসেবে প্রতিবেদন দেয়ার পর খালাস-প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৩ আগস্ট জাহাজ থেকে চাল খালাস শুরু হয়।

এর আগে ২৬ এপ্রিল ভারত থেকে আমদানি করা চালের মধ্যে মরা, নষ্ট ও বিবর্ণ দানার পরিমাণ বেশি হওয়ায় বগুড়ার সান্তাহার জংশন স্টেশনে ছয়টি ওয়াগন থেকে চাল খালাস বন্ধ করে দেয় খাদ্য বিভাগ। পরে চালগুলো ফেরত পাঠানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর