বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৩৫০ কোটি টাকার জিরো-কুপন বন্ড ইস্যু করতে পারবে ব্র্যাক

  •    
  • ৭ আগস্ট, ২০২১ ১২:৩৫

বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণের ইতিহাসে একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে জিরো-কুপন বন্ড ইস্যু করার নজির এটাই প্রথম।

জিরো-কুপন বন্ড ইস্যু করার অনুমোদন পেয়েছে বৃহত্তম ক্ষুদ্রঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক।

ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) এ অনুমোদন দেয়।

এর ফলে ব্র্যাক প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার জিরো-কুপন বন্ড ইস্যু করতে পারবে।

বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণের ইতিহাসে একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে জিরো-কুপন বন্ড ইস্যু করার নজির এটাই প্রথম।

এমআরএর নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার তুষার ভৌমিকের কাছে এ অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করেন।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন এমআরএর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মণ চন্দ্র দেবনাথ, পরিচালক মুহাম্মদ মাজেদুল হক ও মো. নূরে আলম মেহেদি এবং ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক অসিত বরণ দাস।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্র্যাককে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছিল।

ব্র্যাকের এই বন্ডের বৈশিষ্ট্য হলো এটি আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল ও ফুললি রিডিমেবল। এর মেয়াদ হবে দেড় থেকে পাঁচ বছর।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিরা ১ কোটি টাকার একাধিক গুণিতক দিয়ে এই বন্ড কিনতে পারবেন। এ ইস্যুটির লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে আরএসএ অ্যাডভাইজরি লিমিটেড ও ট্রাস্টি হিসেবে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড কাজ করছে।

জিরো কুপন বন্ডের ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেয়ায় সব নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে ব্র্যাকের সিএফও তুষার ভৌমিক বলেন, ‘এতদিন গ্রাহকের সঞ্চয় এবং ব্যাংকের ঋণ ছিল ব্র্যাকের তহবিলের প্রধান উৎস। এখন বন্ড ইস্যু ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের তহবিলের বিকল্প উৎস হিসেবে যোগ হলো। এটি ক্ষুদ্রঋণ খাতের জন্য একটি বিরাট স্বীকৃতি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বন্ডগুলোর মাধ্যমে ব্র্যাকের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচিতে বিনিয়োগের জন্য নন-লেন্ডার প্রতিষ্ঠানগুলির পথ খুলবে।

‘ব্র্যাক আশা করে বন্ডগুলি সাশ্রয়ী আর্থিক সমাধান খোঁজা মানুষদের, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নতিতে কার্যকরভাবে সাহায্য করবে।’

১৯৭২ সালে ব্র্যাকের যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল শাল্লায়। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যচক্র ভেঙে স্বাবলম্বী করতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জরুরি—এমন উপলব্ধি থেকে ব্র্যাক প্রথম ১৯৭৪ সালে শাল্লার জেলেদের ঋণ দেয়। বর্তমানে ব্র্যাকের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির আওতায় সেবা পাচ্ছেন ৭৪ লাখ মানুষ।

এ বিভাগের আরো খবর