বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিপ সংকট: হাইব্রিড গাড়ি তৈরিতে ধস

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২১ ১৪:৫৭

গবেষণার ওই ফলে বলা হয়, স্বয়ংক্রিয় চার্জিং হাইব্রিড এবং প্লাগ-ইন হাইব্রিড গাড়িগুলোর প্রাথমিক কাঁচামালের দাম বেড়েছে। প্রতি এক লাখ সেডান ও এসইউভিতে প্রচলিত একই ধরনের মডেলে খরচ বেড়েছে ১০০ কোটি ডলার করে।

বৈশ্বিক চিপ সংকটে হাইব্রিড গাড়ি তৈরি ব্যাহত হয়ে পড়েছে। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এরই মধ্যে তারা কাঁচামালের জোগানে বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছেন।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, যেসব হাইব্রিড গাড়ি জ্বালানিতে চলে সেসব মডেলের জন্য এই সমস্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক জার্নাল এনভাইরনমেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রকাশ করা এক ফলে এমন কথা তুলে ধরা হয়েছে।

গবেষণার ওই ফলে বলা হয়, স্বয়ংক্রিয় চার্জিং হাইব্রিড এবং প্লাগ-ইন হাইব্রিড গাড়িগুলোর প্রাথমিক কাঁচামালের দাম বেড়েছে। প্রতি এক লাখ সেডান ও এসইউভিতে প্রচলিত একই ধরনের মডেলে খরচ বেড়েছে ১০০ কোটি ডলার করে।

সায়েন্স ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি খরচ বেড়েছে ব্যাটারির উপদানগুলোতে। এগুলোর মধ্যে কোবাল্ট, নিকেল, গ্রাফাইট এবং নিওডামিয়ামের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রধান গবেষক ও বিজ্ঞানী র‍্যান্ডলফ কিরচেইনের মতে, এসব উপাদান হাইব্রিড গাড়িতে প্যালাডিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার একেবারে কমিয়ে দিয়েছে।

এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য, গবেষকরা ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি যন্ত্রাংশের দামের ওপর গবেষণা করেন। এসব যন্ত্রাংশ দিয়ে ওই নির্মাতারা চারটি সেডান এবং তিনটি স্পোর্ট ইউটিলিটি যানবাহন (এসইউভি)সহ বিভিন্ন স্তরের সাতটি গাড়ি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে।

পরে তারা হিসাব করে দেখেছেন, ৭৬টি রাসায়নিক উপাদান প্রয়োজন হয় এবং একই সঙ্গে অন্য উপাদান প্রয়োজন হয় প্রতিটি গাড়ি তৈরিতে।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেকট্রনিক্সে সরবরাহে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। এমন কি অনেক কাঁাচামাল বিভিন্ন সময় সরবরাহ বন্ধও থেকেছে।

এর ফলে মানুষজন পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে হাইব্রিড গাড়ি কেনার পরিমাণ যে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তা কমে গেছে।

হাইব্রিড গাড়ির ব্যাটারির জন্য কিছু বিরল ধাতুর প্রয়োজন হয়, যা নির্ভর করে সেগুলোর সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর। যে কারণে এসবের দামও বেড়ে যাচ্ছে খুব।

বিভিন্ন এমন প্রয়োজনীয় কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় গাড়ি তৈরির পরিমাণ কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে নামীদামি প্রতিষ্ঠানগুলো।

এই গাড়িগুলোর সরবরাহ কমে গেলে পরিবেশের ওপর আরও বেশি চাপ পড়বে বলে মনে করছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, জ্বালানি তেলের জন্য কার্বন নিঃসরণ হয় বেশি। হাইব্রিড গাড়িগুলোতে ব্যাটারির ব্যবহার বাড়ায় কার্বন নিঃসরণ কমে যায়।

হাইব্রিড ও ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বেশ কয়েক বছর থেকেই উন্নত গবেষণা করে আসছে। বিশেষ করে ছোট ব্যাটারিকে বেশি শক্তিশালী করতে কোটি কোটি ডলার খরচ হচ্ছে গবেষণায়।

টেসলাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ খাতে বিনিয়োগও করছে অনেক বেশি।

এ বিভাগের আরো খবর