টানা বৃষ্টি ও প্রবল জোয়ারের পানিতে বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ১৪৩টি পুকুর ও ঘের ভেসে গেছে। এতে সাড়ে ২২ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্য চাষিরা।শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, অতি বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে বরিশাল বিভাগের চার জেলায় পুকুর ও ঘের ভেসে যাওয়ায় মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পিরোজপুরে ৮১০টি পুকুর ও ঘের প্লাবিত হয়ে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা, বরগুনায় ৬ হাজার ৩৪টি পুকুর ও ঘের প্লাবিত হয়ে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা, পটুয়াখালীতে ৫২৩৫টি পুকুর ও ঘের প্লাবিত হয়ে ১৮ কোটি টাকা এবং ভোলায় ৫৫টি পুকুর ও ঘের ভেসে যাওয়ায় ২১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বরিশাল বিভাগে সব মিলিয়ে ১২ হাজার ১৪৩টি পুকুর ও ঘের ভেসে যাওয়ায় ২২ কোটি ৫২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে মৎস্য খাতে। মৎস্য খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পটুয়াখালীর চাষিরা। আবহাওয়া অফিস জানায়, মঙ্গল ও বুধবার বরগুনা জেলায় ২৬২ মিলিমিটার বৃৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ছাড়া ভারী বর্ষণে এত ক্ষতি হবে তা এ অঞ্চলের কেউ ভাবেতেও পারেনি। তালতলীর নয়া ভাইজোরা বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় একটি এলাকা। সেখানকার মাছ চাষি আলম খান সাত একর জমিতে মাছের ঘের করেছিলেন। খরচ হয়েছিল সাত লাখ টাকা। ভারী বর্ষণ আর অধিক জোয়ারে ঘের প্লাবিত হয়ে মাছ ভেসে গেছে।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার বলেন, ‘প্রবল বর্ষণে জেলার মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা পানিতে তলিয়ে যাওয়া পুকুর ও ঘেরের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি। মৎস্য খাতের ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিকদের ক্ষতিপূরণের সুপারিশ করব।’