উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি, এমন মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বুধবার সন্ধ্যায় পেশাজীবী সংগঠন ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি। এটি নির্ভর করছে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টদের ওপর। এজন্য তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, আর্থিক প্রতিবেদনে অটোমেশন পদ্ধতি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে দেশকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উৎকৃষ্ট বার্ষিক আ্যাকাউন্টস এবং রিপোর্টার্স পুরস্কার প্রক্রিয়ার অটোমেশনের উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইসিএবি।
করোনা মহামারিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কাজের পরিবেশে ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এই সময়ে অফিসে স্বশরীরে না গিয়ে বাড়িতে বসেই কাজ করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
এ পরিস্থিতিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও কজের গতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, করোনাকালে অটোমেশনের ব্যবহার বেড়েছে এবং এর সুবিধাগুলি খুবই স্পষ্ট। এটি কাজের বোঝা কমিয়ে দেয়। সময় কমিয়ে কাজের প্রক্রিয়াকে সহজ করে সেই সঙ্গে কাজের গতি বাড়াতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করে কাজের মান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় এবং সরকারি রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতা এবং বিনিয়োগের আস্থা বাড়াতে বিশ্বজুড়ে চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্টসদের মূল্যায়ন করা হয়।
আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ-উল হাসান খসরু এফসিএ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মো. হুমায়ুন কবীর এফসিএ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. মনিরুজ্জামান এফসিএ, আইসিএবির প্রধান নির্বাহী শুভাশীষ বসু ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার এফসিএ সহ অন্যানরা।
মাহমুদউল হাসান খসরু বলেন, আইসিএবি ইতিমধ্যে একটি ওয়েব-ভিত্তিক ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) চালু করেছে যা, সংস্থাগুলোর আর্থিক তথ্যের স্বচ্ছতা বাড়িয়ে তুলবে। এর ফলে আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার এফসিএ বলেন, আইসিএবি ১৯টি অটোমেশন প্রকল্প গ্রহণ করেছে যার মধ্যে , শিক্ষার্থী নিবন্ধনকরণ প্রক্রিয়া, ই-গ্রন্থাগার, ওয়েবসাইট পুননির্মাণ, পেপারলেস আইসিএবি পরিসেবা উল্লেখযোগ্য।
এসব প্রকল্প সম্পন্ন হলে আইসিএবির পরিচালনা ব্যয় কমে যাবে, বাড়বে উৎপাদনশীলতা ও কর্মীদের দক্ষতা।