‘কনফার্মিং’ ব্যাংক হিসেবে গ্লোবাল ট্রেড ফাইন্যান্স প্রোগ্রামে (জিটিএফপি) অংশ নিতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক।
এই চুক্তির ফলে জিটিএফপিতে অংশ নেওয়া সিটি ব্যাংককে আইএফসির সম্পূর্ণ বা আংশিক গ্যারান্টি দেবে। কার্যকরভাবে তাদের অর্থ প্রদানের ঝুঁকি নিবে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক হিসেবে সিটি ব্যাংক এ তালিকায় যুক্ত হল।
সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ এবং আইএফসির এশিয়া ও প্যাসিফিক ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট গ্রুপের আঞ্চলিক শিল্প পরিচালক রোজি খান্না এই চুক্তিতে সই করেন।
উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৫ সালে জিটিএফপি চালু করেছিল আইএফসি। ২০১২ সালে ‘ইস্যুইং ব্যাংক’ হিসেবে জিটিএফপি প্রকল্পে যোগ দেয় সিটি ব্যাংক।
জিটিএফপি প্রকল্পের আওতায় কনফার্মিং ব্যাংক হিসেবে সিটি ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ইস্যু করা এলসি অ্যাড কনফার্মেশন করতে আইএফসি থেকে ঝুঁকি কাভারেজ পেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত খাতের পণ্য ও পরিসেবার আমদানি-রপ্তানির অর্থায়নে সিটি ব্যাংকের সামর্থ্যে এটি এক বড় উদ্যোগ। এই চুক্তির মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের বাণিজ্যিক লেনদেনের সক্ষমতা ব্যাপকহারে বেড়ে যাবে, যা বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে বাণিজ্য প্রবাহের চলমান সংকটের প্রভাব কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
শেখ মারুফ বলেন, আইএফসির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিটি সিটি ব্যাংকের শক্তি এবং সামর্থ্যের প্রমাণ স্বরূপ। এই চুক্তি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে এই ব্যাংকের সক্ষমতা আরও জোরদার করবে।
‘এই চুক্তির মাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে সিটি ব্যাংক আন্তর্জাতিক ট্রেড ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে এলসি কনফার্মিং ব্যাংকে পরিণত হবে, যা বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য গর্বের।’
রোজি খান্না বলেন, ‘জিটিএফপি ব্যাংক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক সহজেই বৃহৎ আন্তর্জাতিক ব্যাংকের সঙ্গে কাজের অংশীদারিত্ব স্থাপন করতে পারবে এবং নগদ জামানতের প্রয়োজনীয়তা কমানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ে অর্থের যোগান আরও বিস্তৃত করতে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, করোনার প্রভাবে যেসব বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নগদ প্রবাহ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারাও বাজারে ধারাবাহিক বাণিজ্যিক ঋণ প্রবাহ থেকে লাভবান হতে পারবে। এটি বাণিজ্য বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য হ্রাসে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।