বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫ আগস্টের আগে খুলছে না কারখানা

  •    
  • ২৭ জুলাই, ২০২১ ১৬:০৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন চলমান থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে টিকাদান কার্যক্রমও চলবে।’

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় ৫ আগস্ট পর্যন্তই লকডাউন চলবে। শিল্প-কলকারখানার মালিকরা অনুরোধ জানালেও তাদের অনুরোধ রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধকল্পে আরোপিত বিধিনিষেধের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও কোডিড-১৯ প্রতিরোধক টিকা প্রদান কার্যক্রম জোরদারকরণ‘ বিষয়ে সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন চলমান থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে টিকাদান কার্যক্রমও চলবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যে লকডাউন চলছে এটা চলতেই থাকবে। আমাদের যে টার্গেট ৫ তারিখ পর্যন্ত সেই ৫ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন চলবে। যদিও আমাদের শিল্পপতিরা এবং আরও অনেকে রিকুয়েস্ট করেছিলেন, আমরা সেই রিকুয়েস্ট বোধহয় গ্রহণ করতে পারছি না।‘

৭ আগস্ট শুরু হচ্ছে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রমকে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার আলোকে ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘যেখানে টিকা দেয়া হয়েছে সেখানে সংক্রমণ কমে গেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও সেই দৃশ্য আমরা দেখেছি। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা, আমাদের টিকা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য।’

করোনাপ্রতিরোধী টিকা নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়সের সীমাও কমিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন নিয়ে আরেকটি নির্দেশনা দিয়েছেন যে, এনআইডি কার্ড নিয়ে যে যাবেন, তাকেই টিকা দেয়া হবে।’

সচিবালয়ের সভায় বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ নেই তাদের ক্ষেত্রে কী হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটারও আলোচনা হয়েছে। যাদের আইডি কার্ড বা বার্থ রেজিস্ট্রেশন কার্ড কিছুই না থাকবে, তাদেরও বিশেষ ব্যবস্থায় রেজিস্ট্রেশন করে দিয়ে দেয়া হবে স্পটে।’

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘টিকা দেয়াতে আমরা বেশি জোর দিচ্ছি। সে কারণে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদে টিকার কেন্দ্র স্থাপন করছি। যেখান থেকে ইউনিয়নের সমস্ত লোকজন, আপামর জনসাধারণ যারা টিকা নিতে চায় বা টিকা নিতে হবে, তারা ওখানে এসে টিকা নিতে পারবেন।’

বয়স্কদের শুরুতে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে নিজের যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি যারা পঞ্চাশোর্ধ আছেন মহিলা এবং পুরুষ, যারা বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন, তাদের ৭৫ শতাংশ ঢাকার হাসপাতালে আছেন। তাদের মধ্যে টিকা নেয়নি প্রায় ৯০ শতাংশ। তাদের মৃত্যুর হার বেশি। সে কারণে আমরা ওইদিকে জোর দিচ্ছি, যারা পঞ্চাশোর্ধ আছেন, তারা যেন তাড়াতাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে আসতে পারেন, এসে টিকা নিতে পারেন।’

সরকারের হাতে টিকা আরও বেশি পরিমাণ জমা হলে তখন ওয়ার্ড পর্যায়ে গণটিকা কর্মসূচি শুরু করা হবে বলেও জানান জাহিদ মালেক।

টিকা কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু নিরাপত্তা বাহিনী নয়, শুধু সরকারি কর্মকর্তারা নয়, আমাদের জনপ্রতিনিধি, আমাদের ধর্মীয় নেতা, সমাজের নেতারা- সবাইকে সম্পৃক্ত হতে হবে। না হলে এই জায়গা থেকে আমরা সহজে পরিত্রাণ পাব না।’

সম্মুখসারির যোদ্ধাদের টিকায় অগ্রাধিকার দেয়ার কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেনা, নৌ, বিমান, কোস্টগার্ড, বিজিবি, আনসার পুলিশসহ সব বাহিনীর সদস্যদের টিকার আওতায় আনতে হবে।

‘তাদের পরিবার পরিজনসহ সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। ১৮ বছরের ওপরে যারা, তাদের সবাইকে আমরা টিকার আওতায় আনব।’

তবে শুধু লকডাউনের মাধ্যমে করোনার এই উচ্চ সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় জানিয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরতে আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এ বিভাগের আরো খবর