কোরবানির পর দাম না পেয়ে বিশেষ করে ছাগলের চামড়া রাস্তার ধারে ফেলে রাখার ঘটনা অহরহ ঘটলেও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন দাবি করেছেন, এবার চামড়া নষ্ট হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, ‘চামড়া সংরক্ষণের জন্য এবার পর্যাপ্ত লবণের সরবরাহ ছিল। তাই কোনো চামড়া নষ্ট হয়নি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর পূর্বপ্রস্তুতির ও সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে কারণে এবারের কোরবানির চামড়া নিয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অব্যবস্থাপনা তৈরি হয়নি।’
শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ-উল-আজহা পরবর্তী ভার্চুয়াল শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন মন্ত্রী। শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
মন্ত্রী বলেন, ‘চামড়া শিল্প দেশের অন্যতম একটি রপ্তানিমূখী এবং বহুমুখী সম্ভাবনাময় খাত। শিল্পের অধিকাংশ কাঁচামাল (কাঁচা চামড়া) কোরবানির সময় সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। সরকার এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। …জেলা, বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং ও টিমওয়ার্কের কারণে চামড়া সংগ্রহ, পরিবহন ও সংরক্ষণের চামড়া ব্যবস্থাপনায় এবার সুফল এসেছে।’
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার চামড়া সংরক্ষণ, স্থানান্তর ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শিল্প মন্ত্রণালয় সফল হয়েছে এবং ব্যবসায়ীরা চামড়ার সঠিক দাম পেয়েছে। কোরবানির চামড়া কীভাবে সংরক্ষণ ও স্থানান্তর করতে হবে এবং তার সঠিক নির্দেশনা শিল্প মন্ত্রণালয় যথাসময়ে দিয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে সচেতন করেছে। ফলে কোরবানির চামড়া সংরক্ষণে সুফল পেয়েছি।’
সভাপতির বক্তব্যে শিল্প সচিব বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়, বিসিক এবং মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের সহায়তায় এবং কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিক সহযোগিতায় কোরবানিকৃত পশুর চামড়া সংরক্ষণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’