বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লকডাউন: ব্যাংক খোলা, গ্রাহক কম

  •    
  • ২৫ জুলাই, ২০২১ ১৫:৪৩

বিভিন্ন ব্যাংকে দেখা গেছে, শাখার ভেতরে ৮-১০ জন করে গ্রাহক অপেক্ষা করছেন। কোনো কোনো ব্যাংকে গ্রাহকের সংখ্যা আরও কম। কেউ কেউ ভিড় কম থাকায় ব্যাংকের অন্য কাজও সেরে নিচ্ছেন।

পাঁচ দিন ঈদের ছুটির পর রোববার ব্যাংক খুললেও গ্রাহকের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে চলেছে ব্যাংকিং কার্যক্রম। অলস সময় পার করছেন কর্মকর্তারা।

বিভিন্ন ব্যাংক ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাংক শাখার ভেতরে কয়েকজন গ্রাহক লাইনে দাঁড়িয়ে। নগদ টাকা তোলারও চাপ নেই।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছুটি ছিল ব্যাংকে। সঙ্গে যোগ হয়েছে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। সব মিলিয়ে পাঁচ দিন বন্ধ শেষে ব্যাংকগুলো রোববার থেকে গ্রাহকের চাহিদামতো শাখা খোলা রাখতে শুরু করেছে। খোলা শাখায় লেনদেন হচ্ছে সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত।

বিভিন্ন ব্যাংকে দেখা গেছে, শাখার ভেতরে ৮-১০ জন করে গ্রাহক অপেক্ষা করছেন। কোনো কোনো ব্যাংকে গ্রাহকের সংখ্যা আরও কম। কেউ কেউ ভিড় কম থাকায় ব্যাংকের অন্য কাজও সেরে নিচ্ছেন।

রাজধানীর ব্যস্ততম শাখাগুলোর একটি মতিঝিলের সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখা। ওই শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার এফএম মাসুম বলেন, ‘ঈদের আগে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ ছিল। আজ তেমন ভিড় নেই।’

তবে ব্যাংকগুলোতে ভিড় কম থাকলেও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও তাপমাত্রা মাপতে থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

জনতা ব্যাংক মতিঝিল করপোরেট শাখার কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান জানান, ‘যাদের লেনদেন করার দরকার ছিল শুধু তারাই আজ ব্যাংকে এসেছেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ আসছেন না। এ কারণে ক্যাশ কাউন্টারগুলোতে চাপও কম।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানোর লক্ষ্যে শুক্রবার থেকে আবার ১৪ দিনের শাটডাউনে দেশ। যা শেষ হবে ৫ আগস্ট।

এই সময়ে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহে পাঁচ দিনই সকাল ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে ব্যাংকগুলোতে। লেনদেন ছাড়া আনুষঙ্গিক কার্যক্রম চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

ঈদের পর লকডাউনে ব্যাংকে লেনদেন কীভাবে পরিচালিত হবে, সে বিষয়ে ১৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, বিধিনিষেধ চলাকালে গ্রাহকদের হিসাবে নগদ বা চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট বা পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা বা অনুদান বিতরণ চালু থাকবে।

এ ছাড়া ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধাসংবলিত ব্যাংকের সব গ্রাহকের এবং সুবিধাবহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদের বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস বা ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্য লেনদেন সুবিধা প্রদান এবং জরুরি বৈদেশিক লেনদেনসংক্রান্ত কার্যাবলি চালু থাকবে।

শাটডাউনে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। এ সময় এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহ রাখার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

সমুদ্র, স্থল বা বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা বা উপ-শাখা বা বুথগুলো সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর বা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর