বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে দুই বছরের ব্যবধানে চামড়া সংগ্রহ অর্ধেকের কম

  •    
  • ২৩ জুলাই, ২০২১ ১৬:১৬

‘মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়ার কম দামের জন্য আমাদের দুষছেন। কিন্তু দোষ তো আমাদের না। অনেকে বলছে আমাদের সিন্ডিকেট আছে, আসলে আমাদের কোনো সিন্ডিকেট নেই। সিন্ডিকেট আছে মূলত ঢাকার ট্যানারি মালিকদের।’

চট্টগ্রামে ২০১৯ সালে কোরবানির ঈদে চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছিল পাঁচ লাখ পিস। এর পরের বছর সংগ্রহ কমে হয় এক লাখ পিস।

এ বছর লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ থাকলেও চামড়া সংগ্রহ হয়েছে দুই লাখ। তা ছাড়া সংগ্রহ করা এসব চামড়া যথাযথ মূল্যে বিক্রি করা নিয়েও তৈরি হয়েছে শঙ্কা।

আড়তদাররা বলছেন, ঢাকার ট্যানারি মালিকরা সরকারনির্ধারিত দরে চামড়া না কিনলে পড়তে হবে ক্ষতির মুখে।

চট্টগ্রাম চামড়া আড়তদার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম বলেন, ‘করোনার কারণে এবার অনেকে কোরবানি দেননি। তাই সংগ্রহ কম হয়েছে। তা ছাড়া চামড়ার মূল্য কম হওয়ায় অনেকে বিক্রি না করে নষ্ট করে ফেলছেন।

‘মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়ার কম দামের জন্য আমাদের দুষছেন। কিন্তু দোষ তো আমাদের না। অনেকে বলছে আমাদের সিন্ডিকেট আছে, আসলে আমাদের কোনো সিন্ডিকেট নেই। সিন্ডিকেট আছে মূলত ঢাকার ট্যানারি মালিকদের।’

নগরীর আতুরার ডিপো এলাকার আড়তদার মুজিব মিয়া বলেন, ‘আমরা এবার চামড়া কিনেছি ১০০ থেকে ২৫০ টাকায়। চামড়া ব্যবসায়ীরা আমাদের দোষ দিচ্ছেন, কিন্তু আমরা নিরুপায়। এখন যে চামড়াগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে, সেসব ন্যায্যমূল্যে ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করতে পারলেই হয়।’

নগরীর বটতল এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী দেলোয়ার বলেন, ‘লবণের দামও বেশি, এত টাকা দিয়ে চামড়া কিনে অতিরিক্ত দামে লবণ কেনা অসম্ভব। এই চামড়া বিক্রি করতে না পারলে ফেলে দেয়া ছাড়া আর উপায় নাই আমাদের।’

চট্টগ্রাম চামড়া আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এবার চামড়ার সংগ্রহ কম। কিন্তু সংরক্ষণ করতে অনেক খরচ। সব মিলিয়ে আমরা পড়েছি বিপাকে।’

এ বিভাগের আরো খবর