বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফাঁকা কাঁচাবাজার, সরবরাহ কমে বাড়তি দাম

  •    
  • ২৩ জুলাই, ২০২১ ১৩:১৫

ঈদের এক দিন পর প্রথম শুক্রবার অনেকটা অচেনা রূপে ছিল কারওয়ান বাজার। ছিল না কোনো হইহল্লা। ঈদের পর অনেক বিক্রেতা প্রথম এসেছেন বাজারে। বসেছেন পসরা সাজিয়ে।

ঈদুল আজহার শেষ হয়েছে দুদিন। এই ঈদের কাঁচাবাজারে চাহিদার পাল্লায় ভারী থাকে মসলা আর সালাদ তৈরির সরঞ্জামে।

ঈদের এ সময়ে শসা, গাজর, টমোটোর সঙ্গে কাঁচামরিচ, ধনেপাতা দিয়ে তৈরি সালাদে আপ্যায়ন জমিয়ে রাখা হয়। তাই এ সময়টিতে চিচিঙ্গা, লাউ, মুলা, জালি কিংবা ঢ্যাঁড়শে নজর খুব একটা থাকে না।

সাধারণত শুক্রবার কর্মজীবী মানুষের কাছে বাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এদিন পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে ছুটে যান ভালো ও কম দামে পাওয়া যায় এমন কাঁচাবাজারে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারি ও খুচরা বাজার হিসাবে বিশেষভাবে পরিচিত। সপ্তাহের ছুটির দিনে এই বাজার ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে থাকে মুখরিত।

কিন্তু ঈদের এক দিন পর প্রথম শুক্রবার অনেকটা অচেনা রূপে ছিল কাওরান বাজার। ছিল না কোনো হইহল্লা। ঈদের পর অনেক বিক্রেতা প্রথম এসেছেন বাজারে। বসেছেন পসরা সাজিয়ে।

সবজির দাম নিয়ে ক্রেতার মধ্যেও নেই কোনো আলোচনা। বলছেন, একে ঈদের পর, অপরদিকে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম। বিক্রেতারা বলছেন, আরও দুই-এক দিন পর হয়তো ক্রেতারা বাজারে আসতে শুরু করবেন।

শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই শাটডাউন। এই সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে বসবে কাঁচাবাজার।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি কম থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার হারও ছিল বেশি।

এ ছাড়া মালিবাগ কাঁচাবাজারে রাস্তার পাশে বসেছে মাছ আর সবজির বাজার। খিলগাঁও রেলগেট বাজারে ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বিক্রেতাদের বেশির ভাগই ছিল মাস্ক ছাড়া।

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মো. রিয়াজ জানান, সবজির দাম এখন কম। তবে সালাদের জন্য যেসব কাঁচা সবজি বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলোর দর ঈদের আগে কিছুটা বাড়লেও এখন কমে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

এ বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। তিতকরলা ৫০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, গাজর ৯০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৩০ টাকা, লাউ আকার ভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া লেবুর ডজন বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৩৫-৫০ টাকা। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা কেজি। জালি প্রতিটি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা।

মসলাজাতীয় পণ্যের দাম এখনও কিছুটা বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে জিরা কেজি ৩০০ টাকা, দারুচিনি ৩৮০ টাকা, লবঙ্গ ৮৫০ টাকা, এলাচ (ছোট) ২ হাজার ৪০০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা, তেজপাতা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি, রসুন দেশিটা ৮০-৯০ টাকা, বিদেশি ১৪০ টাকা, আদা দেশি ১৩০ টাকা, বিদেশি ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে রুই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, ইলিশ ৮০০ টাকায়।

এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ও দেশি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজিতে।

ঈদের আগে বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে চাল। সরু চালের মধ্যে নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৬৫ টাকা কেজি। আগের সপ্তাহে এই চাল বিক্রি হয়েছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়।

পাইজাম ও লতা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫৩ টাকা। মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণ ও চায়না ইরি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪৬ টাকা কেজি।

আরেক বিক্রেতা নাছির বলেন, আরও দুই-এক দিন পর বাজার আগের মতো জমবে। এখন মানুষ মাংস খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত। আর বিক্রেতারাও সবাই এখনও আসেননি। অনেকেই গ্রামে গেছেন ঈদ করতে।

এ বিভাগের আরো খবর