বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জুলাইয়ে আর খুলছে না পোশাক কারখানা

  •    
  • ২০ জুলাই, ২০২১ ২২:৩৬

‘বেশিরভাগ কারখানায় ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি দিয়ে ৬ আগস্ট খোলার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু কারখানায় অবশ্য ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছুটি দিয়ে ১ আগস্ট খোলার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সরকার যদি লকডাউন কমিয়ে দেয়, তাহলে ১ আগস্ট খুলবে; আর তা না হলে ৬ আগস্ট খুলবে।’

ঈদের পর দুই সপ্তাহের কঠোর শাটডাউন বা লকডাউনের সময় পোশাক কারখানা চালু রাখার দাবি জানিয়েছিলেন মালিকেরা। তবে সরকার কোনো ইতিবাচক সাড়া না দেয়ায় ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছুটির নোটিশ দিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কেউ কেউ আবার ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছুটি দিয়ে শ্রমিকদের বলেছেন, সরকার যদি শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া বিধিনিষেধের সময়সীমা কমিয়ে আনে তাহলে ১ আগস্ট থেকে কারাখানা খুলবে।

বুধবার সারা দেশে ঈদ উদযাপিত হবে। পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বাড়ির উদ্দেশে ছুঁটেছেন। কেউ ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছেন, অনেকে পথে রয়েছেন।

সরকার ঘোষিত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট-দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের মধ্যে কারখানা খোলা থাকবে কি না-তা নিয়ে দোটানায় ছিলেন মালিক-শ্রমিকরা। জোর দাবির পরও সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন না করায় কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকরা।

রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান মঙ্গলবার রাতে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের নির্দেশ মতোই আমরা ছুটি দিয়েছি।

‘বেশিরভাগ কারখানায় ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি দিয়ে ৬ আগস্ট খোলার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু কারখানায় অবশ্য ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছুটি দিয়ে ১ আগস্ট খোলার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সরকার যদি লকডাউন কমিয়ে দেয়, তাহলে ১ আগস্ট খুলবে; আর তা না হলে ৬ আগস্ট খুলবে।’

একই কথা বলেন নিট পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি ধরেই সব কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে, সব শ্রমিককেই মুখে বলে দেয়া হয়েছে, সরকার যদি লকডাউনের সময়সীমা কমিয়ে দেয়, তাহলে মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেয়া হবে কারখানা কবে খুলবে। সে মোতাবেক কাজে যোগ দিতে হবে।

‘অর্থাৎ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ীই আমরা কারখানা খুলব।’

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে চলতি বছরের এপ্রিলে সরকার বিধিনিষেধ দিলেও রপ্তানিমুখী পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুযোগ পায়। সর্বশেষ গত ২৮ জুন শুরু হওয়া সীমিত পরিসরের ও পরে ১ জুলাই থেকে চলমান কঠোর বিধিনিষেধেও পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা চালু থাকে।

তবে গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে, ঈদ–পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল পর্যন্ত সব ধরনের বিধিনিষেধ শিথিল থাকবে।

এরপর আবার কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হবে। চলবে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত। এই সময়ের কঠোর বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে।

ফারুক হাসান বলেন, বিজিএমইএ’র নির্দেশনা মোতাবেক অধিকাংশ কারখানার মালিক ছুটির নোটিশে উল্লেখ করছেন, ঈদের ছুটির পর করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে কারখানা বন্ধ থাকবে। পরবর্তী সময়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ীই কারখানা চালু করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর