করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ বাড়তে থাকায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধে আরও ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধ না করলেও খেলাপির তালিকায় নাম না উঠার যে সুবিধা দেয়া হয়েছিল, পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুবিধা দেয়।
৫ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারে জানিয়েছিল, জুনের মধ্যে যে টাকা দেয়ার কথা ছিল, তার ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলেই ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সেই ঋণ আর খেলাপি হবে না। তবে, জুন পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির বাকি অর্ধেক পরের কিস্তির সঙ্গে পরিশোধ করতে বলেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার নতুন সার্কুলারে শুধুমাত্র এইক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে বলা হয়েছে, জুন পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির বাকি অংশ গ্রাহক তার ঋণের সর্বশেষ কিস্তির সঙ্গে পরিশোধ করতে পারবেন।
নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, গত ৫ জুলাইয়ের সার্কুলারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল যে, ঋণ বা লিজ বা অগ্রিমের বিপরীতে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ৫০ শতাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩১ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করলে ওই ঋণ খেলাপি হবে না। এক্ষেত্রে জুন পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির অবশিষ্টাংশ পরবর্তী কিস্তির সঙ্গে দিতে হবে।
‘এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, জুন পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির বাকি অংশ গ্রাহক তার ঋণের সর্বশেষ কিস্তির সঙ্গে পরিশোধ করতে পারবেন।’
এছাড়া অন্যান্য কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ করতে হবে বলে নতুন সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
৫ জুলাইয়ের সার্কুলারের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তি থাকবে বলে সোমবারের সার্কুলারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত বছরের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর ঋণগ্রহীতাদের সুরক্ষা দিতে এপ্রিল মাসে ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতায় স্থগিতাদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সরকারের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সার্কুলার জারি করে জানায়, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। এরপর এ ছাড়ের মেয়াদ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে তৃতীয় দফায় এ সুযোগ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
পরে সুবিধা আরও ছয় মাস বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়।