ঈদ শেষে শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া কঠোর বিধিনিষেধে রোববার ব্যাংক আর বন্ধ না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিধিনিষেধের প্রথম দুই রোববার লেনদেন হয়নি ব্যাংকে। তবে তৃতীয় রোববার ঈদকে সামনে রেখে খোলা ছিল প্রতিষ্ঠানগুলো।
ঈদ উপলক্ষে যে ৮ দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়, তার মধ্যে এই রোববার ছিল। সরকার জানিয়েছে, আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট আবার কঠোর বিধিনিষেধে যাবে দেশ। অপ্রয়োজনে কেউ বাসার বাইরে গেলে আগের মতো হবে জরিমানা।
এই ২৩ জুলাই শুক্র আর পরদিন শনিবার এমনিতেই ব্যাংক বন্ধ। ফলে প্রশ্ন ছিল রোববার কী হবে?
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২৫ জুলাই ব্যাংক খোলা থাকবে। এর আগে লকডাউনের কারণে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে রোববার ছুটির বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল। তবে সামনের লকডাউনে রোববার বন্ধ থাকার বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ জন্য আগের মতো রোববারও ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে।’
ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবার ১৪ দিনের শাটডাউন চলবে দেশে। ওই সময়টায় ব্যাংকে লেনদেন কীভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে ১৩ জুলাই সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া) বিধিনিষেধ চলাকালে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেন চলবে। লেনদেন পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। তবে রোববারের কথা সেখানে উল্লেখ ছিল না।
লকডাউনে যেসব সেবা চালু থাকবে
বিধি-নিষেধ চলাকালে গ্রাহকদের হিসাবে নগদ বা চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট বা পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা বা অনুদান বিতরণ, একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকের সব গ্রাহকের এবং উক্ত সুবিধা বহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস বা ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা প্রদান এবং জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত কার্যাবলী চালু থাকবে।
এটিএম বুথ ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং
শাটডাউনে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। এসময়ে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহ রাখার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
সমুদ্র, স্থল বা বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা বা উপ-শাখা বা বুথসমূহ সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর বা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন নিশ্চিতপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।