পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিটি ব্যাংককে ৩ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিডিসি গ্রুপ। বর্তমান বাজারদরে টাকার অংকে এই অর্থের পরিমাণ ২৫৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
বুধবার বেসরকারি এই ব্যাংকটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়, এই ঋণ দিয়ে সিটি ব্যাংক তাদের তারল্যপ্রবাহ বাড়াবে; যা ধারাবাহিকভাবে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমকে জোরদার করে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে।
সিডিসির এই বিনিয়োগ সিটি ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের আমদানি ও রপ্তানির ব্যবসায় গতি আনবে এবং প্রতি বছর অতিরিক্ত ১ কোটি ডলারের বৈদেশিক বাণিজ্য সুবিধা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এই ঋণ সিটি ব্যাংকের সাধারণ গ্রাহক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে ব্যাংকের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে।
এই ঋণ বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও উৎপাদন শিল্পের অগ্রযাত্রাকে গতিশীল করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে আশা প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয় ব্যাংকগুলো প্রায়ই স্বল্প-মেয়াদী বৈদেশিক ঋণ সংকটের সম্মুখীন হয়। কোভিড-১৯ মহামারি সাম্প্রতিক সময়ে শিথিল শর্তে বিদেশি মুদ্রার তহবিল প্রাপ্তিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। সিডিসি’র এই ঋণের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে একটি স্থিতিশীল উৎস থেকে বাণিজ্য ঋণ সরবরাহের মাধ্যমে বর্তমানের এই সমস্যাকে লাঘব করা।
‘সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি এবং আমদানি হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্থ করছে’ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ঋণ সুবিধা বাংলাদেশে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ডলারের সরবরাহ বাড়াবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, ‘এই ঋণ যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা অনুদান অর্থায়ন ছাড়াও বিভিন্ন বাণিজ্য অর্থায়ন উপকরণের মাধ্যমে বিস্তৃত হবে।’
সিডিসি গ্রুপের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রেহান রশিদ বলেন, ‘আমরা আনন্দিত যে, এই বাণিজ্য অর্থায়ন ঋণ বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত এবং স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের ভ্যালু চেইনে প্রভাব রাখার ব্যাপারে আমাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।’
সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, সিডিসির এই ঋণ ইউপিএএস-এলসিগুলোর মাধ্যমে বাণিজ্য অর্থায়নে সহায়তা করবে। এটি প্রকারান্তরে দেশের কর্পোরেট এবং এসএমইগুলোকে কার্যকর পরিচালন মূলধনের জন্য এই মহামারিকালে প্রতিযোগিতামূলক সুদের হার প্রাপ্তিতে সহায়তা করবে।
‘আমরা এতে খুব খুশি এবং ভবিষ্যতে সিডিসির সঙ্গে আরও দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে আশাবাদী।’