করোনার কারণে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের বিতরণ করা ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৩৩ শতাংশ পেয়েছেন নারী-উদ্যোক্তারা।
মঙ্গলবার এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনলাইন মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান।
সরকারঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ বিতরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এসএমই ফাউন্ডেশন।
ড. মফিজুর রহমান আরও জানান, সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে ১৩টি ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে সারা দেশে ১ হাজার ৬৯ জন উদ্যোক্তার মাঝে প্রায় ১১৬ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। দুই মাসের মধ্যে ওই ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যোগ্য নারী উদ্যোক্তা বাছাই করে তাদের মাঝে ঋণ বিতরণ করেছেন বলে জানান এসএমই ফাউন্ডেশনের এমডি। এ জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্ব াহী কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও ২০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্য
এমএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ২০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হবে। ব্যাংক এবং নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ ঋণ দেয়া হবে।
সংস্থার এমডি মফিজুর রহমান আরও জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা এবং পল্লি এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারের দ্বিতীয় দফার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মাঝে ঋণ বিতরণের জন্য ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
এর মধ্যে বিদায়ী অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়। অবশিষ্ট ২০০ কোটি টাকা চলতি অর্থবছরের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় যারা এখন পর্যন্ত ঋণ পাননি, পল্লি এলাকার সেই সব প্রান্তিক নারী-উদ্যোক্তাকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানায় এসএমই ফাউন্ডেশন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজিম হাসান সাত্তারের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় ২৪টি ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।