করোনাভাইরাস মহামারির ক্ষতি পোষাতে কম সুদের প্রণোদনার ঋণ নিতে পারবে বিদেশি মালিকানাধীন যে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান। যৌথ মালিকানাধীন (দেশি ও বিদেশি) প্রতিষ্ঠানও পাবে এই ঋণসুবিধা।
এতোদিন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) আওতায় থাকা ইপিজেডের কারখানা ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্কে অবস্থিত ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণির শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোই শুধু এ ঋণসুবিধা পেত।
এখন থেকে এ সব অঞ্চলের বাইরে অবস্থিত যে কোনো শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন ও যৌথ মালিকানাধীন (দেশি ও বিদেশি) শিল্পপ্রতিষ্ঠানও পাবে এই ঋণসুবিধা।
বাংলাদেশ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
গত বছরের ১ অক্টোবর জারি করা সার্কুলারে করোনার কারণে রপ্তানি বাণিজ্যে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোসহ সামগ্রিকভাবে দেশে কার্যরত সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের পাশাপাশি আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধাসমূহ বেজা, বেপজা এবং হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষে অবস্থিত ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ টাইপ শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল।
সোমবারের সার্কুলারে ১ অক্টোবরের সার্কুলারের একটি সংযোজন এনে বলা হয়, আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধাসমূহ এসব অঞ্চলের বাইরে অবস্থিত শতভাগ বিদেশী মালিকানাধীন/যৌথ মালিকানাধীন (দেশী ও বিদেশী) প্রতিষ্ঠানসমূহের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
আগের সার্কুলারের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে বলে নতুন সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে এখন পর্যন্ত সরকার ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকার ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।