বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকায় ঋণ দিচ্ছে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাংক

  •    
  • ১১ জুলাই, ২০২১ ২১:১১

দ্রুত এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের চুক্তি সই হওয়ার কথা। এ অর্থ দিয়ে মূলত চীন ও রাশিয়া থেকে করোনা প্রতিরোধি টিকা আমদানি করা হবে।

করোনা মহামারি মোকাবিলায় এই প্রথমবারের মতো চীনের নেতৃত্বাধীন এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) বাংলাদেশকে ৭৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এটি ৬ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তারা নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দ্রুতই এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। এ টাকা দিয়ে মূলত চীন ও রাশিয়া থেকে করোনা প্রতিরোধি টিকা আমদানি করা হবে।

এরই মধ্যে চীনের উৎপাদিত টিকা সিনোফার্মের প্রথম চালান দেশে আসছে। রাশিয়ার উৎপাদিত টিকা স্পুৎনিক-ভি এর একটি বড় চালান চলতি মাসেই দেশে আসার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এআইআইবি চীনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এর উদ্দেশ্য মূলত সদস্য দেশগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে ঋণ সহয়তা দেয়া। করোনা মহামারি মোকাবিলায় এবার তারা সদস্যভূক্ত দেশগুলোতে ঋণ-সহয়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে ঋণ দেয়া হচ্ছে। এ ঋণের সুদ হার কত হবে, সে সম্পর্কে কিছুই জানায়নি অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে নমনীয় ও সহজ শর্তে এই ঋণ দেয়া হবে বলে জানায় অর্থ মন্ত্রণালয়।

নতুন বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের বাইরেও করোনা টিকা ক্রয়ে পৃথক ১০ হাজার কোটি টাকা ‘থোক বরাদ্দ’ রাখা হয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, এবারের বাজেটে অর্থনৈতিক ঝুঁকি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আলাদা ৫ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছে।

সরকার দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের টিকা প্রদান নিশ্চিত করত চায়। এই লক্ষ্য অর্জনে থোক বরাদ্দের ১০ হাজার কোটি টাকা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বরাদ্দ ৫ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হলে টিকা কেনার পেছনে ব্যয় করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে আমাদের টাকার কোনো সমস্যা হবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় যখন যা চাইবে, চাহিদা অনুযায়ী অর্থ ছাড় করা হবে। কিন্তু মূল সমস্যা হচ্ছে টিকার অব্যবস্থাপনা। এই জায়গায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বেশি নজর দিতে হবে।’

করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। দেশে করোনা প্রতিরোধে গণটিকা দেয়া শুরু ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। বাংলাদেশ প্রথমে করোনার অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত টিকা ব্যবহারের পক্ষে ছিল। এ জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার চুক্তিও করে। প্রতি মাসে আসার কথা ছিল ৫০ লাখ ডোজ টিকা। কিন্তু দুই কিস্তিতে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় সিরাম আর কোনো টিকা পাঠাতে পারেনি। কেনা টিকার বাইরে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে ভারত।

টিকা সংকটের কারণ দেখিয়ে গত ৫ মে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এমন অবস্থায় টিকার বিকল্প উৎস হিসেবে চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে চীন থেকে ৪ থেকে ৫ কোটি টিকা কেনার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি দুটি দেশের টিকা দেশে উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

এছাড়া ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে ওঠা জোট কোভ্যাক্স থেকেও আসার কথা ছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ টিকা। এই উৎস থেকে ইতোমধ্যে দুই চালানে ফাইজার ও মডার্না থেকে ২৬ লাখ টিকা আসছে। ফাইজারের টিকা রাজধানীর সাতটি হাসপাতালে শুধু প্রবাসীদের দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে মডার্না টিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে।

শনিবার একটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে টিকার সমস্যা আল্লার রহমতে কেটে গেছে। এরই মধ্যে দেশে ৪৬ লাখ টিকা এসেছে। আপনারা শুনে আনন্দিত হবেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে চিঠি পেয়েছি। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি আওতায় আরও ৬০ লাখ টিকা দেয়া জন্য আমাদের কাছে চিঠি এসেছে। মাসের প্রথম সপ্তাহে এই টিকা দেশে আসবে।’

চীনের কাছ থেকে বড় ধরনের টিকার চালান আসবে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘চীনের থেকে আরও লাখ টিকা আমরা পাব। আগস্টের মধ্যে অক্সফোর্ডের ১০ লাখ টিকা আমেরিকার কাছ থেকে পাওয়ার আশা রয়েছে। এর থেকে বেশিও আসতে পারে। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পৌনে দুই থেকে দেড় কোটি টিকা বাংলাদেশের হাতে থাকবে। ছাড়াও আরও কিছু টিকা আগস্ট মাসে আসার কথা রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর