কমপ্লায়েন্সের অভাবে বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসছে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি বড় বড় কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন ধরনের কম্প্লায়েন্স থাকে। কোম্পানিগুলো তাদের চাহিদা মত সুযোগ সুবিধা না পেলে পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী হয় না।’
বৃহস্পতিবার অনলাইনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিজিটাল সাবমিশন অ্যান্ড ডেসিমিনেশন প্লাটফর্ম সফটওয়্যারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স পালন সহজ হবে।
সফটওয়ারটির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সিকিউরিটিজ আইনের স্বচ্ছতা, অনলাইন ডেটা সংগ্রহ, তথ্য-উপাত্ত জমা, মূল্যসংবেদনশীল তথ্য এবং আর্থিক হিসাব সরাসরি প্রদান করা যাবে।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই সফটওয়্যারটি প্রযুক্তি নির্ভর পুঁজিবাজারের জন্য একটি বড় অর্জন। সফটওয়্যার শুধু তৈরি করলেই হবে না, এর ধারাবাহিক উন্নয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সফটওয়্যারটি সঠিকভাবে মেইনটেনেন্স করতে হবে। একই সঙ্গে এর ব্যবহারকারীদের যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রশিক্ষিত করতে হবে।’
বিএসইসি কমিশনার জানান, পরিপূর্ণভাবে এই সফটওয়্যারের ব্যবহার নিশ্চিত হলে বড় বড় কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উদ্বুদ্ধ হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, ‘একটি দেশের উন্নয়নের জন্য ডিজিটালাইজেশন দর্শন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিগত ৩৫ বছর ধরে আমাদের দেশের তেমন কোনো ভিশন-মিশন ছিল না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ডেল্টা প্ল্যান তৈরি করেছে, যা দেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
তিনি বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় কাজ করে সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। এই সফটওয়্যারটিকে আগামীতে আরও উন্নত এবং ব্যবহারবান্ধব করতে হবে। আর এজন্য আমাদের প্রতিনিয়ত কাজ করতে হবে।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইনফরমেশন অনলাইন সাবমিশনের মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। সফটওয়্যারটি ডিএসইর লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স মার্কেট অপারেশন ও আইটি টিম যৌথভাবে তৈরী করেছে।
ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. জিয়াউল করিম, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ইনচার্জ) আবদুল মতিন পাটওয়ারী, এফসিএমএসহ ডিএসই কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক (মার্কেট অপারেশন) সাইদ মোহাম্মদ জুবায়ের।