বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্ষতিগ্রস্তদের আইপিওতে আর কোটা নয়

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২১ ১৮:৫৩

যদি চিঠি না আসে, তাহলে কোন আইপিও থেকে তা বাতিল হবে, এমন প্রশ্নে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘ইতোমধ্যে যেসব আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়ে গেছে, সেগুলোতে কোটা রাখা আছে। জুলাই থেকে যেসব কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়া হবে, সেগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত কোটা থাকবে না।’

পুঁজিবাজারে নতুন যেসব কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে আসছে, সেসব কোম্পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ কোটা থাকবে কি না, সেটি নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি পুঁজিবাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত, যা জুলাইয়ের শুরুতেই জারি করা উচিত। এখনও যেহেতু মেয়াদ বাড়ানো হয়নি, তাই এই কোটা না থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

২০২০ সালের ১ জুলাই পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিওতে বিশেষ কোটা সুবিধা এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল। এর মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু নতুন অর্থবছর শুরু হলেও এখনও এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা জারি করেনি অর্থ মন্ত্রণালয়।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত বছরের জুনে মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আইপিওতে যে বিশেষ কোটা রাখা হয়েছিল, সেটি এক বছরের জন্য বাড়িয়ে ৩০ জুন ২০২১ সাল করা হয়েছিল। কিন্তু জুলাই মাস শুরু হয়ে গেলেও এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এটি পর্যালোচনা করার জন্য একটি কমিটি আছে। আমাদের লাইন মিনিস্ট্রি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। সেখান থেকে যদি কোনো সিদ্ধান্ত না আসে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যে কোটা রাখা আছে সেটি বাতিল হবে। আর কোনো নির্দেশনা এলে তা জানিয়ে দেয়া হবে।’

যদি চিঠি না আসে, তাহলে কোন আইপিও থেকে তা বাতিল হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে যেসব আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়ে গেছে, সেগুলোতে কোটা রাখা আছে। জুলাই থেকে যেসব কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়া হবে, সেগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত কোটা থাকবে না।’

২০১০ সালের ডিসেম্বরে পুঁজিবাজারে সৃষ্ট মহাধসের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের মার্চে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বা স্কিম ঘোষণা করে সরকার। ওই স্কিমের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটা সুবিধা রাখা হয়।

আইপিও শেয়ার বণ্টনের লটারি প্রথা বাতিল হওয়ার পর আনুপাতিক হারে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে কার্যকর হচ্ছে। ফলে এই উপায়েও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে।

আইপিও কোটা সংশোধনের প্রস্তাব

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিএসইসি) প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে চাওয়া কোম্পানির শেয়ার বণ্টনের খসড়া নীতিমালা গত মার্চে প্রকাশ করা হয়েছে।

খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, স্থির মূল্য বা ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে, সেসব কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য রাখা হবে ২০ শতাংশ শেয়ার। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য থাকবে ১০ শতাংশ। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য থাকবে ৭০ শতাংশ শেয়ার।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চাইলে ওই কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ার রাখা হবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য। সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা পাবেন কোম্পানির ৭০ শতাংশ শেয়ার, যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েই বিনিয়োগকারীদের প্রলোভন দেখিয়ে বড় অঙ্কের বোনাস লভ্যাংশে দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি বন্ধ করতে বলা হয়েছে, নতুন তালিকাভুক্ত হওয়ার শুরুর দুই বছর কোনো বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো যাবে না।

খসড়া অনুসারে আইপিওর মাধ্যমে কোনো কোম্পানি ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চাইলে ওই কোম্পানি ১৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার প্রাইভেট প্লেসমেন্টে ইস্যু করার সুযোগ পাবে।

বিশ্লেষকের বক্তব্য

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘এটি পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, যা জুলাই মাসের শুরুতেই দেয়ার কথা। কিন্তু এখনও যেহেতু সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি, তাই বলা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য কোটা সুবিধা বাতিল হচ্ছে।’

বর্তমানে আনুপাতিক হারে সব বৈধ আবেদনকারীকে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্যও কোটা সুবিধা রাখা আছে।

তিনি বলেন, ‘যদি ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের কোটা বাতিল করা হয়, তাহলে অবশ্যই নতুন কোম্পানির আইপিও শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্যও কোটা রাখা উচিত নয়।’

আবু আহমেদ বলেন, ‘যদি তা না হয়, তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগসীমার ওপর ভিত্তি করে কোটা দেয়া উচিত। সবার জন্য একই হারে বণ্টন করা যৌক্তিক নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর