বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সম্ভাবনাময় শিল্পে সমান সুযোগ চায় ডিসিসিআই

  •    
  • ৭ জুলাই, ২০২১ ২৩:২০

ডিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে দেশের রপ্তানি শিল্প পোশাকখাতসহ অন্যান্য মাঝারী ও ছোট শিল্প যেমন পাট, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা, ফার্মাসিটিক্যাল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আইসিটিসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতের আন্তর্জাতিক বাজার ধরে রাখতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণসহ পরবর্তীতে রপ্তানি সক্ষমতা অর্জনে দেশের সম্ভাবনাময় সব খাতের জন্য সমান সুযোগ চায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

বুধবার ডিসিসিআই আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় ঢাকার ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় এই সংগঠনের সভাপতি বলেন, এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে দেশের রপ্তানি শিল্প পোশাকখাতসহ অন্যান্য মাঝারী ও ছোট শিল্প যেমন পাট, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা, ফার্মাসিটিক্যাল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আইসিটিসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতের আন্তর্জাতিক বাজার ধরে রাখতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ পরবর্তী সময়ে রপ্তানী বহুমুখীকরণে চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ডায়ালগে প্রধান অতিথি ছিলেন রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ২০২৬ সাল পরবর্তী সময়ে অনেক রপ্তানি বাণিজ্য ও স্বল্প ব্যয়ে ঋণ সুবিধাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের শুল্ক-অশুল্ক বাধার সম্মুখীন হতে হবে।

এ জন্য দীর্ঘমেয়াদী ঋণ ও সহায়ক নীতি সহায়তা দিতে হবে। বাংলাদেশের ১৭৫০টি রপ্তানী পণ্যের প্রায় ৮১ শতাংশই তৈরি পোশাকখাতের। তৈরি পোশাক খাতের মতো রপ্তানিমুখী সব শিল্পে সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। মানব সম্পদের উন্নয়ন, নেগোশিয়েশনে দক্ষতা এবং গবেষণা কার্যক্রমে বিনিয়োগ ও বরাদ্দ বাড়ালে তা উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান এবং সিইও এ এইচ এম আহসান বলেন, ‘আমাদের রপ্তানী পণ্যের বাজার মূলত ইউরোপ ও আমেরিকা ভিত্তিক। এর বাইরে আফ্রিকা, ল্যাতিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাজার সম্প্রসারণে সময় এসেছে। পণ্যের পাশাপাশি সার্ভিস বা সেবা রপ্তানির বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে হবে।’

‘তৈরি পোশাকের খাতের ন্যায় অন্যান্য রপ্তানীমুখী খাতে বন্ডসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। পণ্য বাজারজাতকরণের দক্ষতা বাড়াতে হবে।’

গবেষণা সংস্থা সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উত্তরণের ফলে অর্থনীতির কোথায়, কি ধরনের প্রভাব পড়বে তার জন্য হোমওয়ার্ক করতে হবে। গবেষণা কার্যক্রমে বরাদ্দকে ব্যয় হিসেবে না দেখে বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে হবে। দেশীয় মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন করা না হলে, বিদেশি নাগরিকরা এসে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিজ দেশে নিয়ে যাবে।’

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বৈদেশিক ও স্থানীয় বিনিয়োগ বাড়াতে করপোরেট কর কমাতে হবে এবং উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিতে হবে।’

আন্তর্জাতিক বড় বিনিয়োগ আকর্ষণে এবং এ দেশে তাদের অফিস কার্যক্রম চালু করতে ‘ডেটা সিকিউরিটি এবং ডেটা প্রাইভেসি’ খুবই জরুরী।

লেদারগুডস্ অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পণ্য উৎপাদন ব্যয় কমাতে জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ খাতগুলোকে আরও সক্ষমতা বাড়ানো এবং সব রপ্তানিমুখী পণ্যের জন্য একই নীতি সহায়তা দেয়া খুবই জরুরী।’

বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রি অনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইআইওএ) সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের প্রায় ৪০ হাজার উদ্যোক্তা রয়েছে। ২০০৬ সালে এ খাতের জন্য মুন্সীগঞ্জে ৫০ একর জমিতে একটি শিল্প পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়, কিন্তু প্রতিকাঠা জমির দাম ধরা হয়েছে ২০ লাখ টাকা, যা এখাতের উদ্যোক্তাদের জন্য অনেক বেশি।’

এসিআই মবিলিটি, প্লাস্টিক অ্যান্ড এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারী বলেন, ‘কৃষিখাতে গবেষণা বাড়ানো ও নতুনত্ব ও প্রযুক্তি আনায়ন এবং পণ্যের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে হবে। কৃষি প্রসেসিং শিল্প-কারখানা স্থাপনে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন জরুরি।’

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের জেনারেল ম্যানেজার নাইমুল হুদা বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও ওষুধ শিল্পে প্যাটেন্ট সুবিধা ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বহাল থাকবে এবং বাংলাদেশ বর্তমানে ১১০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। প্রস্তাবিত এপিআই পার্কের অবকাঠামো ও অন্যান্য সুবিধা দেয়ার কাজ দ্রুততর করার জন্য এটিকে ফার্স্ট-ট্র্যাক হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, বর্তমানে পাটখাত থেকে রপ্তানি আয় হয় ১ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা ৫-১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেয়া সম্ভব। এজন্য পাট পণ্যের বহুমুখীকরণ নিশ্চিত করা, করনীতিমালা সহজীকরণ এবং রপ্তানিমুখী পাটখাতে ভ্যাট ছাড় দিতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর