রাজস্ব আদায় বাড়াতে সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য সরকারি রাজস্ব আহরণকারী সংস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আধুনিকায়ণ করতে হবে।
বুধবার ‘রেভিনিউ মবিলাইজেশন প্রোগ্রাম ফর রেজাল্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বেসরকারি সংগঠন ‘সুশাসনের জন্য প্রচার অভিযান–সুপ্র’ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম যৌথভাবে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে। সুপ্র-এর চেয়ারপার্সন আব্দুল আউয়াল অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন।
এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. আতিউর রহমান, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদসহ রাজস্ব বিষয়ক দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।
রাজস্ব আদায় বাড়াতে সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত অনেক কম। এটা নিয়ে দ্বিমত করার কিছু নেই।’
‘তবে আরও বেশি রাজস্ব আহরণের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। এ জন্য প্রচলিত আইনের অনেক অনেক পরিবর্তনের প্রয়োজন।’
মন্ত্রী জানান, ‘আমাদের ঘাটতি বাজেট করতে হচ্ছে। কারণ অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহে দুর্বলতা রয়েছে। এ জন্য ঋণ করে ঘাটতি মেটাতে হয়।’
‘ঋণের পরিমাণ তখনই কমে আসবে, যখন নিজস্ব সম্পদ আহরণ আরও বাড়বে। কী ভাবে রাজস্ব আয় বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে ভাবেতে হবে।’
দেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনার কাজের প্রশংসা করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সব বৈঠকেই আমাদের দিকনির্দেশনা দেন। কিন্তু বাস্তবে অনেক নির্দেশই শেষ পর্যন্ত প্রতিপালন হয় না।’
‘কেন জানি আমরা একটা বেড়াজালে আটকে আছি’—মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রথমত, সংস্কারে মনোযোগ দেয়া। দ্বিতীয়ত, বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসা।’ এর ফলে যে কোনো কাজে একটা ভালো ফলাফল আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি একটি স্বচ্ছ কর ব্যবস্থাপনা দেখতে চাই। আদায় প্রক্রিয়া হবে সহজ। এ জন্য প্রচার কাজ জোরদার করতে হবে এবং বাড়াতে হবে সচেতনতা।’