বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পণ্য পরিবহনে জাহাজ ও কনটেইনার সংকট নেই

  •    
  • ৭ জুলাই, ২০২১ ১৮:৫৭

গত ১৫ দিনে বাংলাদেশ থেকে ২৬টি জাহাজ ছেড়ে গেছে। সেগুলোর ধারণ ক্ষমতা ছিল ৩৮ হাজার টিইইউএস। কিন্তু জাহাজগুলো পণ্য পরিবহন করেছে ২৭ হাজার টিইইউএস। অর্থাৎ ১১ হাজার টিইইউএস সমপরিমাণ জায়গা অব্যবহৃত ছিল। এ ছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর এবং বিভিন্ন অফডকে প্রায় ৪০ হাজার টিইইউএস খালি কনটেইনার রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানিপণ্য জাহাজীকরণে জাহাজ এবং খালি কন্টেইনারের কোনো সংকট নেই বলে দাবি করেছে সরকার। গত ১৫ দিনের হিসেব তুলে ধরে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে ২৬টি জাহাজ ছেড়ে গেছে। সেগুলোর ধারণ ক্ষমতা ছিল ৩৮ হাজার টিইইউএস (টুয়েন্টি ফিট ইক্যুইভেলেন্ট ইউনিট)। প্রতিটি কনটেইনারের দৈর্ঘ্য ২০ ফুট।

কিন্তু জাহাজগুলো পণ্য পরিবহন করেছে ২৭ হাজার টিইইউএস। অর্থাৎ ১১ হাজার টিইইউএস সমপরিমাণ জায়গা অব্যবহৃত ছিল। এ ছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর এবং বিভিন্ন অফডকে (বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলো) প্রায় ৪০ হাজার টিইইউএস খালি কনটেইনার রয়েছে।

বুধবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে ‘চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানিপণ্য জাহাজীকরণ সংক্রান্ত’ এক ভার্চুয়াল সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী।

পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, পণ্য ও কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা চালু রেখে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণজনিত লকডাউনের মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে। জাহাজ থেকে পণ্য এবং কনটেইনার আনলোডিং, আমদানিকারকের কাছে পৌঁছানো এবং রপ্তানি কন্টেইনার জাহাজে বোঝাইয়ের কাজ স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ২৩৬ টিইইউএস কনটেইনার, ১১ কোটি ৩৭লাখ ২৯ হাজার ৩৭৩ মেট্রিক টন কার্গো এবং ৪ হাজার ৬২টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করেছে।

যেখানে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩০ লাখ ৪ হাজার ১৪২ টিইইউএস কনটেইনার, ১০ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৭২ মেট্রিক টন কার্গো এবং ৩ হাজার ৭৬৪টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করেছে।

দেখা যাচ্ছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কার্গোতে ১১.৯৮ শতাংশ, কনটেইনারে ৩.০৯ শতাংশ এবং জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে ৭.৯২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

সভায় আরও জানানো হয় যে, ছোটখাটো যেসব সমস্যা আছে সেগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। ভবিষ্যতে বন্দরের চাহিদা মোকাবিলায় এবং সম্ভাব্য সমস্যা সমাধানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সুলতান আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কনটেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা), বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতিনিধি হিসেবে রাখা হবে।

সভায় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বোঝাই কনটেইনার দ্রুত গন্তব্যে পাঠাতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে শিপিং অ্যাজেন্ট এবং মেইন লাইন অপারেটরদের (এমএলও) মধ্যে ‘কমন ক্যারিয়ার এগ্রিমেন্ট’ করা; ডাইরেক্ট কলিং অব শিপ টু ফাইনাল ডেস্টিনেশন; এমএলওদের মধ্যে কনটেইনার সরাসরি ইন্টারচেঞ্জ; ফ্রেইট ফরওয়ার্ডরা অফডকগুলোকে বিলম্বে কার্গো লোডিং প্ল্যান প্রদান না করা; এবং অফডকের সংখ্যা বাড়ানো।

এগুলো বাস্তবায়ন হলে জাহাজ ও কনটেইনার জট কমে আসার পাশাপাশি বেশি সংখ্যক কনটেইনার রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং দেশের রিজার্ভ বাড়বে বলে আশা করছে চট্টগ্রাম বন্দর।

ভার্চুয়াল বৈঠকে কাস্টমসের সদস্য (পলিসি) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুজ্জামান, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর সহ সভাপতি মো. হাতেমসহ এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ শিপিং অ্যাজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন, বাফা এবং বিকডার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালালউদ্দিন এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সাব্বির মাহমুদও বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর