প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে রোমভিত্তিক আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ)।
সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হুংবো বাংলাদেশকে বর্তমানে ইফাদের সর্ববৃহৎ পোর্টফোলিও হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সম্পদ ব্যবহারে বাংলাদেশের সক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার দুপুরে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান ইফাদ প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান করেন। এতে ইফাদ প্রেসিডেন্ট উল্লিখিত কথাগুলো বলেন।
করোনাভাইরাস সৃষ্ট পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সোমবার ইফাদের সদর দপ্তরে এ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
রাষ্ট্রদূত ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনু্ষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ এবং ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণে বাংলাদেশকে অব্যাহত সহায়তার জন্য ইফাদ প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
ইফাদের ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় গিলবার্ট হুংবোকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রদূত।
গ্রামীণ অঞ্চল ও প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রেসিডেন্ট হুংবো যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন, তা অব্যাহত রাখতে তার এ পুনর্নিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান।
তিনি করোনা সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যেও রেকর্ড ১.৫৫ বিলিয়ন ডলার তহবিল গঠনে ইফাদ প্রেসিডেন্টের গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এর মাধ্যমে ২০২২-২০২৪ মেয়াদে উন্নয়নশীল দেশগুলো ইফাদ থেকে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন ডলার অনুদান ও ঋণ সহায়তা নিতে পারবে।
বাংলাদেশ আগামী দিনগুলোতে ঋণ ব্যবহারের সামর্থ্য ও সক্ষমতার বিবেচনায় ইফাদের মূল তহবিল থেকে ঋণ সহায়তা নেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য তহবিল (যেমন: ধারকৃত সম্পদ, ক্লাইমেট ফান্ড, বেসরকারি তহবিল) থেকেও প্রয়োজনীতার নিরিখে সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারে।
বাংলাদেশের এ সক্ষমতা অর্জন বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন ইফাদ প্রেসিডেন্ট।