বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩৯ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়ে মামলা

  •    
  • ৫ জুলাই, ২০২১ ২১:২৩

উত্তরার ‘মোহাম্মদ ট্রেডিং’ নামে ওই প্রতিষ্ঠানটি আরএকে সিরামিকস ও স্টার সিরামিকের কাছ থেকে টাইলস এবং স্যানিটারি পণ্য কিনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে। ২০১৮ থেকে এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত বিক্রির তথ্য গোপন করে ২৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। আর সুদ বাবদ আরও ১১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।

রাজধানীর উত্তরায় একটি টাইলস বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩৯ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকি উদঘাটনের পর মামলা হয়েছে।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দা ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর সোমবার মামলাটি করে।

ভ্যাট গোয়েন্দা ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল হক নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

‘মোহাম্মদ ট্রেডিং’ নামে ওই প্রতিষ্ঠানটি উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের জসিমউদ্দীন এভিনিউ আরকে টাওয়ারে অবস্থিত।

ভ্যাট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটি আরএকে সিরামিকস ও স্টার সিরামিকের কাছ থেকে টাইলস এবং স্যানিটারি পণ্য কিনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে। তারা বিক্রির তথ্য গোপন করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।

তদন্তে ফাঁকির ঘটনা প্রমাণ হওয়ার পরেই মামলা করা হয় বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল হক বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি তাদের ভ্যাটযোগ্য সেবার বিপরীতে প্রযোজ্য রাজস্ব যথাযথভাবে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আইন ভঙ্গ করেছে। এতে করে সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লাভবান হয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।’

অধিদপ্তরেরর উপপরিচালক তানভীর আহমেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

তারা সেখানে গেলে কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে মালিকপক্ষকে অনুরোধ করলে তা খোলা হয়।

এ সময় কর্মকর্তারা ভ্যাটসংক্রান্ত নথিপত্র ও কম্পিউটারসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক দলিলাদি জব্দ করে।

তদন্তে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি জানুয়ারি ২০১৮ থেকে এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত বিক্রির তথ্য গোপন করে।

আলোচ্য সময়ে প্রকৃত বিক্রির ওপর ভ্যাট না দিয়ে কমিশনের ওপর ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট পরিশোধ করে। এটি ভ্যাট আইনের পরিপন্থি বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক বছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।

যথাসময়ে এই ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ায় সুদ বাবদ আরও ১১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর