বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজারে লকডাউনের উচ্ছ্বাস শাটডাউনেও

  •    
  • ৫ জুলাই, ২০২১ ১১:৩৬

লেনদেনের শুরুতে সূচকের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ১৫০ পয়েন্টে। যেখান থেকে কয়েক সেকেন্ডে সূচক ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে। তারপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন, যা পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন হিসেবে। এই শাটডাউনের মধ্যে সোমবার প্রথম লেনদেন শুরু হয় পুঁজিবাজারে। এতে লকডাউনের সময়ের মতো উচ্ছ্বাস দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি গত বুধবার দেয়া এক নির্দেশনায় জানিয়েছে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিনিয়োগকারীদের মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে ব্রোকারেজ হাউসে যেতে হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

শাটডাউনে লেনদেন সময়সীমাও কমিয়ে আনা হয়েছে। ব্যাংকের কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন।

সোমবার থেকে বুধবার পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে ‍দুপুর একটা পর্যন্ত। আগের স্বাভাবিক লেনদেন হতো বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। বিপরীত অবস্থায় ব্যাংকের লেনদেন চলবে দেড়টা পর্যন্ত।

সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচকের উত্থান হয়েছে ৭৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে লেনদেনের গতি কিছুটা কম। এক ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে ৩৩০ কোটি টাকার।

লেনদেনের শুরুতে সূচকের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ১৫০ পয়েন্টে। যেখান থেকে কয়েক সেকেন্ডে সূচক ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে। তারপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। লেনদেনের সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচকের উত্থানও অব্যাহত আছে। এক ঘণ্টায় সূচকের অবস্থান ৬ হাজার ২২৪ পয়েন্টে।

এপ্রিল থেকে চলমান লকডাউনে পুঁজিবাজার চালু থাকার পরও শাটডাউন আতঙ্কে গত সপ্তাহের রোববার পতন হয় ১০০ পয়েন্ট। তবে ‘সীমিত লকডাউনে’ পুঁজিবাজার চালু থাকার নিশ্চয়তা পাওয়ার দুই দিনে উদ্ধার হয় ১০০ পয়েন্ট। আর ‘শাটডাউন’ নামে পরিচিতি পাওয়া ‘কঠোর বিধিনিষেধেও’ বাজার চালু থাকার নিশ্চয়তা পাওয়ার পর সূচকে যোগ হয় ১০৮ পয়েন্ট। এরপর শাটডাউনের মধ্যে প্রথম লেনদেনেও সূচকের উত্থান দেখা গেছে।

লেনদেন চিত্র

খাতওয়ারি লেনদেনে এ সময়ে এগিয়ে আছে বস্ত্র খাত। তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে মাত্র একটির। বাকি সবগুলোর শেয়ারদর বেড়েছে।

রসায়ন ও ওষুধ খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে মাত্র ৫টির; দর পাল্টায়নি ১টির। বাকি ২৫টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

বিমা খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে ৯টির দর কমেছে; ৭টির দর পল্টায়নি। বাকি ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৩টির। দর পাল্টায়নি ৪টির। বাকি ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ব্যাংক খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৮টির। দর পাল্টায়নি ৩টির। বাকি ২০টি ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে।

৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমেছে মাত্র ২টির। দর অপরিবর্তিত আছে ১২টি। বাকি ২৩টি ফান্ডের দর বেড়েছে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ১৩২ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯২৭ পয়েন্টে। এক ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে মোট ১৮ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর