বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুপারশপে হুমড়ি খেয়ে মানুষ

  •    
  • ৩০ জুন, ২০২১ ২০:৩৪

শাটডাউনে চালু থাকবে কাঁচাবাজার। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী বন্ধ হচ্ছে না মুদি দোকানও। তবে এরপরেও বিভিন্ন আশঙ্কা থেকে ঘরে পণ্য মজুত নিশ্চিতে বুধবার অনেকেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন বিভিন্ন সুপার শপে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে সাত দিনের শাটডাউন। এর আগের দিন রাজধানীর সুপারশপে ছিল উপচে পড়া ভিড়। যে যেভাবে পেরেছেন কিনেছেন নিত্যপণ্য।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শাটডাউনে চালু থাকবে কাঁচাবাজার। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী বন্ধ হচ্ছে না মুদি দোকানও। তবে এরপরেও বিভিন্ন আশঙ্কা থেকে ঘরে পণ্য মজুত নিশ্চিতে বুধবার অনেকেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন বিভিন্ন সুপারশপে।

রাজধানীতে বিকেলে কয়েকটি সুপারশপ ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। কর্তৃপক্ষ বলছে, গত কয়েক দিন ধরেই চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে, বুধবারও ছিল না দম ফেলার ফুরসত।

স্বপ্ন সুপারশপের গুলশান শাখায় দেখা যায়, প্রচুর ক্রেতা। সবাই ব্যস্ত ট্রলিতে পণ্য ভরতে।

গুলশানের স্বপ্ন সুপারশপের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মো. আজগরের ভাষায়, ‘এ যেন কেয়ামতের মতো অবস্থা।’

আজগর জানান, গত বছর প্রথমবার লকডাউন ঘোষণার সময়েও এমন হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘গত চার দিনে এমন অনেকবার হয়েছে যে, আমাদের স্টক শেষ হয়ে গেছে। আমরা আবার মেইন ব্রাঞ্চ থেকে পণ্য এনেছি।’

ক্রেতার ঝোঁক মাছ, মাংসের দিকে বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আর সাথে তো সবজি, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেল ও লবণের চাহিদা আছেই।’

আজগর জানান, রোববার থেকেই ক্রেতার ভিড় ছিল তাদের আউটলেটে। অনেকে বুধবারের আগেই পণ্য কিনে মজুত করেছেন।

গুলশানের আগোরা সুপার শপেও ছিল ক্রেতার ভিড়।

ম্যানেজার মুন্না রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে সকাল থেকেই ভিড় ছিল। আমাদের এখানে মূলত শাকসবজি ও চাল-ডালের চাহিদা বেশি। প্রতিবার লকডাউনের আগেই এমন চিত্র থাকে।’

তিনি বলেন, ‘এবারে লকডাউন দুই ভাগে হওয়ায় ক্রেতারা বুঝতে একটু সময় নিয়েছেন। তবে আজকের চেয়েও রোববারে বেশি ভিড় ছিল।’

একই ধরনের অভিজ্ঞতা জানান মগবাজারে মিনা বাজার সুপারশপের ম্যানেজার রুপম রয়।

রুপম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ আমাদের এখানে ভিড় আছে। সেটা সাধারণ দিনের চেয়ে বেশি। গত কয়েক দিন ধরেই এমন ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে।’

সোমবার শুরু হওয়া সীমিত লকডাউনে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সুপারশপ খোলা থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে কী হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় কর্তৃপক্ষ।

গ্রোসারি পণ্য বিক্রির কারণে সুপারশপ খোলা থাকবে কি না, সে বিষয়ে বুধবার রাত পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি।

রুপম বলেন, ‘আমরা সাধারণত লকডাউনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখি। আশা করি এবারেও তাই হবে।’

মালিবাগ এলাকায় শান্তিবাগ স্বপ্ন সুপারশপের আউটলেট ইনচার্জ ইমতিয়াজ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে যখন লকডাউনের ঘোষণা আসে তখন ক্রেতার ভিড় ছিল। পরে তা কিছুটা কমলেও রোববার থেকে ভিড় আবার বেড়েছে।’

গুলশানের আগোরাতে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউনের মাত্রা এবার একটু ভিন্ন হবে বলে মনে করছি। সাধারণত হোম অফিস করা হয়, তাই বাইরে বের হবার ঝামেলা এড়াতে কিছু পণ্য কিনে রাখছি।’

অন্যদিকে, গুলশানের স্বপ্ন সুপারশপের এক ক্রেতা বলেন, ‘কাঁচাবাজারে ভোগান্তি বেশি। তাই সুপারশপে আসি। তারপর আবার লকডাউন দিয়েছে। মাসের শুরু কাল, তাই একবারে বেশ কিছু জিনিস কিনে নিচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর