গ্রাহকের ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ হাউজ বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আবদুল মুহিতকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার মুহিতসহ প্রতিষ্ঠানটির আরও পাঁচ পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দীকি।
মামলার অন্য অসামিরা হলেন বানকো সিকিউরিটিজের পরিচালক শফিউল আজম, ওয়ালিউল হাসান চৌধুরী, নুরুল ঈশান সাদাত এবং এ মুনিম চৌধুরী।
মঙ্গলবার ভোরে লন্ডনে যাওয়ার পথে বানকোর চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিতকে বিমানবন্দরে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
বিনিয়োগকারীদের জমা করা টাকার মধ্যে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার ঘাটতির প্রমাণ পাওয়ায় ১৫ জুন বানকো সিকিউরিটিজ থেকে শেয়ার কেনাবেচা বন্ধ করে দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তার নামে মামলা হয় মতিঝিল থানায়।
পরে মতিঝিল থানা বিষয়টি দুদকে পাঠায়। এদিকে বিষয়টি ডিএসই থেকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়া হয়।
ভোরে ব্রোকারেজ হাউজটির চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত লন্ডন যেতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটকে দেয়। এরপর তারা বিএসইসির সঙ্গে যোগাযোগ করে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বানকোর চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। এরপরও বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। ইমিগ্রেশন থেকে আব্দুল মুহিতকে বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি। তাকে বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয়েছে।’
দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, আব্দুল মুহিতকে রমনা থানায় রাখা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
ডিএসই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুধু জমা টাকাই নয়, ব্রোকারেজ হাউজটি বিনিয়োগকারীদের বহু শেয়ার বিক্রি করেও অর্থ আত্মসাত করেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ আসছে। তাই ব্রোকারেজ হাউজটি বিনিয়োগকারীদের মোট কত টাকা আত্মসাত করেছে সেটি এখনই বলা সম্ভব নয়।