করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিনের স্ট্রিক্ট ভিউ বা কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও চার যুক্তিতে কারখানা খোলা রাখতে চান মালিকেরা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পোশাক কারখানা মালিকদের যুক্তিগুলো তুলে ধরেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানা, রপ্তানির ধারা ঠিক রাখা, ঈদে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করা এবং ৪০ লাখ শ্রমিককে ছুটি দিলে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে- এই চার যুক্তিতে কারখানা খোলা রাখতে চান মালিকেরা।
কঠোর বিধি নিষেধে তৈরি পোশাক খাত খোলা রাখা হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সে সিদ্ধান্ত কেবিনেট ডিভিশন ঠিক করবে। এই মুহুর্ত পর্যন্ত আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। হয়ত আজ সন্ধ্যার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। কী কী হবে, কী কী করা যাবে, কী কী করা যাবে না। তার আগে কথা বলাটা ঠিক হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মালিকরা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের মধ্যে এই রোগের বিস্তার স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক। কারণ, এই সেক্টরের যারা কাজ করেন তারা বাসা থেকে বের হয়ে সোজা ফ্যাক্টরিতে যায়। ফ্যাক্টরিতে ঢোকার সময় তাদের পরীক্ষা কর হয়, তাদের শরীর কেমন সেটি দেখা হয়। তাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা হয়, মাস্ক পরানো হয়। আবার একইভাবে তারা বাসায় ফিরে যায়। ফলে সমাজের আরেক শ্রেণির সঙ্গে মেশার সুযোগ তাদের খুব কম।’
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, মালিকদের যুক্তি তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন। দেশের স্বার্থে বিদেশে পণ্য রপ্তানি করছেন। এ ছাড়া, সামনের ঈদে বেতন-বোনাসের বিষয় রয়েছে।
‘সবচেয়ে বড় বিষয়, তারা যেটি বলছে সেটি হলো আজকে ৪০ লাখ শ্রমিককে ছুটি দেয়া হলে, গতবারের অভিজ্ঞতা বলে এসব শ্রমিককে ঢাকা বা ঢাকার আশপাশে রাখা যাবে না। দেখা গেছে, সবাই সারা দেশে সেই ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা থেকে রংপুর-কুড়িগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
‘মালিকদের লজিক এই মানুষদের যদি ছড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে তারা যখন ফিরে আসবেন তখন কিন্তু সারা দেশ থেকে অসুস্থতা নিয়ে ফিরে আসতে পারেন। তাদের সুরক্ষিত রাখতে পারলে হয়ত বিস্তৃতিটা কমবে। এসব লজিক তারা উপস্থাপন করেছেন।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাদের যুক্তি চিন্তা ভাবনায় রাখবেন বলেও আশা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘ক্যাবিনেট হয়তো তাদের যুক্তি চিন্তুা করবেন। সব বিবেচনা করে তারা গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেজন্য আমরা অপেক্ষা করতে চাই। তারা কীভাবে সিদ্ধান্ত নেন।’
কোরবানির চামড়া নিয়ে বৈঠকের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ‘চামড়ার দাম নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সাধারনত কোরবানির ঈদের সাত আটদিন আগে আমরা ফরমালি বসে আলোচনা করি।’