বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশে শিল্প-প্রতিষ্ঠানের ৯৯ ভাগই ক্ষুদ্র

  •    
  • ২৮ জুন, ২০২১ ০১:২২

বর্তমানে অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) খাতের অবদান ২৫ ভাগ। যেখানে এসএমই নীতিমালা ২০১৯ অনুযায়ী ২০২৪ সালের মধ্যে এই খাতের অবদান ৩২ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এর মানে দেশের বেকার যুব সমাজের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাত।  

দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৮ লাখ ১৩ হাজারের বেশি। এসবের শতকরা ৯৯ ভাগের বেশি হচ্ছে কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি বা সিএমএসএমই খাতের।

বর্তমানে অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) খাতের অবদান ২৫ ভাগ। যেখানে এসএমই নীতিমালা ২০১৯ অনুযায়ী ২০২৪ সালের মধ্যে এই খাতের অবদান ৩২ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এর মানে দেশের বেকার যুব সমাজের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাত।

রোববার আন্তর্জাতিক সিএমএসএমই দিবস ২০২১ উপলক্ষে প্রথমবারের মতো এসএমই ফাউন্ডেশন এবং ইউনিডোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওয়েবিনারের বক্তারা এসব তথ্য দেন।

কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জীবনযাত্রার মান উন্নোয়নে মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতকে আরও এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে জাতিসংঘ ২৭ জুনকে ‘এমএসএমই দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। সেই হিসেবে এ বছর সারা বিশ্বে পঞ্চমবারের মত দিবসটি পালিত হচ্ছে।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: আখতার হোসেন, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং এফবিসিসিআইর সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন। এতে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন ইউএনআইডিও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধি ভান বার্কেল রেনে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো: মফিজুর রহমান।

ওয়েবিনারে শিল্পমমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, দেশে বেকার যুব সমাজের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাত। এ খাতের উন্নয়নে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে এসএমই ফাউন্ডেশন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সারা দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্য উৎপাদন, বাজার সংযোগ সৃষ্টি এবং দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে তারা। এসব উদ্যোগের ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য আজ সারা বিশ্বে রপ্তানি হচ্ছে। করোনার মধ্যেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ও গ্রামে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি করছে।

তবে এসব উদ্যোক্তাদের জন্য দরকার দক্ষতা উন্নয়ন। এসএমই ফাউন্ডেশনের দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম দেশে দক্ষ উদ্যোক্তা তৈরির প্রয়াস আরও জোরদার করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, অর্থনীতিতে কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতের অবদান অনস্বীকার্য। জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান আরও বৃদ্ধি করতে হবে। সিএমএসএমই খাতের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে ফাউন্ডেশন। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ২৫ শতাংশ। এসএমই নীতিমালা ২০১৯ অনুযায়ী ২০২৪ সালের এসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে এসএমই ফাউন্ডেশনের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখতে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান শিল্প প্রতিমন্ত্রী।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের তরুণ ও যুব সমাজ এখন চাকরি খুঁজছে না, নিজেরাই চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোক্তা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রত্যন্ত দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে ২০১০ সালে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলেছিলেন। বর্তমানে ৭ হাজার ডিজিটাল সেন্টারে ১৩ হাজার উদ্যোক্তা কাজ করছে। আইসিটি খাতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লক্ষাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, এসএমই উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, অর্থায়ন, বাজার সংযোগ সৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। জাতীয় অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের দ্বিতীয় দফা প্রণোদনা প্যাকেজের মধ্যে বরাদ্দকৃত ১০০ কোটি টাকা ২৪ জুনের মধ্যে বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন। করোনা প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার বৃদ্ধিতে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

এ বিভাগের আরো খবর