লকডাউনের অজুহাতে কুষ্টিয়ায় মিনিকেট চালের দাম কেজিতে তিন টাকা বাড়িয়েছেন মিলমালিকরা। জেলা শহরের চালের আড়ত ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার থেকে বস্তায় ২০ টাকা দাম বাড়িয়েছেন মিলমালিকরা।
বড়বাজারের আড়তদার মো. আলামিন বলেন, ১০ দিনে চালের দাম তিন দফায় বেড়েছে। এ সময়ে মিলগেটে চালের দাম ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা বেড়েছে। কেজিতে বেড়েছে তিন টাকা।
তিনি জানান, শনিবার বস্তা ২ হাজার ৮০০ টাকা করে চাল কিনেছেন। বিক্রি করছেন ২ হাজার ৮৫০ টাকা। জেলার খুচরা বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি।
কুষ্টিয়া পৌর বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহেও চালের দাম ছিল ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা কেজি। এখন তা ৫৮ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। খরচ দিয়ে তার কেনা পড়ছে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা।
তবে দাম বাড়ানোর কথা অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, কুষ্টিয়ার সভাপতি ওমর ফারুক।
তিনি জানান, লকডাউনে যানবাহন খরচ ও ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের খরচ বেড়েছে। রোববার সকালে মিলগেটে সরু মিনিকেট চাল ৫৬ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন। এই দর ১০ দিন ধরে একই আছে।
একই কথা বলছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, চালের বিক্রি অনেক কমে গেছে। পাইকাররা অর্ডার দিচ্ছেন না।
চালের দাম কেজিতে এক টাকা বাড়ার কথা স্বীকার করে জেলা বাজার কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। অচিরেই চাল কল পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
চালকলসংশ্লিষ্টরা জানান, কুষ্টিয়ার খাজানগরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধান-চালের মোকামে চার শতাধিক চালকল আছে। এর মধ্যে বৃহদাকার অটোমেটিক রাইস মিল রয়েছে ৫৫টি। এই মোকাম থেকে ভরা মৌসুমে দেশের বাজারে প্রতিদিন ৩০০ ট্রাক চাল সরবরাহ হয়।