বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাটডাউনেও ব্যাংক খোলা রাখার ইঙ্গিত

  •    
  • ২৫ জুন, ২০২১ ১৯:০৪

‘সারা দেশে যদি শাটডাউন হয়, তাহলে ব্যাংকিং কার্যক্রমের বিষয়ে নতুন করে নির্দেশনা দেয়া হবে। তবে করোনার পর এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। সীমিত করা হয়েছে। সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তার সঙ্গে সমন্বয় করেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গত বছর করোনা সংক্রমণের পর ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি আর ৫ এপ্রিল থেকে চলমান বিধিনিষেধেও বন্ধ না থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নতুন আলোচনা শাটডাউনেও খোলা রাখার ইঙ্গিত মিলেছে।

দেশের পশ্চিম সীমান্তে করোনায় ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়া, রাজধানীকে নিরাপদ রাখতে আশপাশের চার জেলায় গণপরিবহন বন্ধ রেখে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার পর এবার সরকার আবার কঠোর বিধিনিষেধের কথা বলছে।

এবার সরকারের পক্ষ থেকে ‘শাটডাউন’ শব্দের ব্যবহার করা হয়েছে। এর বিধিনিষেধ কেমন হবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো ধারণা দেয়া হয়নি।

তবে সারা দেশে কখনো ব্যাংক বন্ধ রাখার ঘটনা এর আগে ঘটেনি। ২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পর যেসব প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল ব্যাংক।

গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ লকডাউন দেয়ার পরও সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা থাকে। আর ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন দেয়ার পর প্রথমে ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত জানালেও পরের বিজ্ঞপ্তিতে উল্টো ব্যাংকের সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়।

তখন থেকে ধাপে ধাপে লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে থাকলে ব্যাংকে লেনদেনের সময়সীমা আরও বাড়িয়ে প্রায় স্বাভাবিক সময়ে নিয়ে আসা হয়।

করোনার আগে ব্যাংকে লেনদেন চলত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে বিধিনিষেধ আবার কঠোর করে যেকোনো সময় ‘শাটডাউন’ ঘোষণার কথা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবার।

এই ঘোষণার পরই শুক্রবারের সাপ্তাহিক ছুটি শুরু হয়ে যাওয়া এবং পরদিন শনিবারও সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে সরকার আসলে কী ভাবছে, তা নিয়ে স্পষ্ট হওয়া যাবে রোববার।

তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, জরুরি সেবা ছাড়া অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন বন্ধ রাখা হতে পারে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ যেন ঘরের বাইরে না আসে, সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে।

ব্যাংককে সাধারণত জরুরি সেবা হিসেবেই ধরা হয়। তাই কঠোর শাটডাউনেও প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে কি না, এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা আছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সারা দেশে যদি শাটডাউন হয়, তাহলে ব্যাংকিং কার্যক্রমের বিষয়ে নতুন করে নির্দেশনা দেয়া হবে। তবে করোনার পর এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। সীমিত করা হয়েছে। সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তার সঙ্গে সমন্বয় করেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘জরুরি সেবার আওতায় ব্যাংক খোলা থাকলে সেটা কি চলতি নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে, নাকি আবার নতুন করে নির্দেশনা জারি হবে সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনের পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

জেলায় জেলায় বিধিনিষেধেও চলছে ব্যাংক

করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানী অবরুদ্ধ করার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ী- এ সাত জেলায় জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান এমনকি সব ধরনের যানবাহন একসঙ্গে বন্ধ ঘোষণা করা হয় গত ২১ জুন।

এর আগে-পরে নানা সময় একইভাবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মাগুরাসহ বিভিন্ন জেলা।

এসব জেলাতে ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যাংক খোলা রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে সরকার কঠোর লকডাউনে যাওয়ার কথা জানানোর পরও ব্যাংক খোলা রাখা হবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংক হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় সেবা। এ সেবা দিতে আমরা বাধ্য এবং এটা চলমান রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ সংকটের মধ্যেও ব্যাংক খোলা রাখতে হবে। কারণ, মানুষ ব্যাংকিং লেনদেন না করতে পারলে অন্যান্য সংকটে পড়বে। চিকিৎসার জন্যও ব্যাংকের টাকা দরকার। সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে, কোন কৌশলে ব্যাংকিং সেবা দেয়া যায় সেটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংক সে সময় প্রথমে ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানানোর পর বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি তখন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংক সেবা একবারে বন্ধ করে দেয়ায় বড়সংখ্যাক মানুষ সমস্যায় পড়বে। অন্যান্য বিষয় বাদ দিলাম, চিকিৎসা করতেও মানুষের টাকার প্রয়োজন হবে।’

ব্যাংক বন্ধ থাকলে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনও বিঘ্নিত হবে। কারণ, ব্যাংক বন্ধ থাকলে এজেন্টরা টাকা তুলতে পারবেন না।

এ বিভাগের আরো খবর