বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইপিওতে আসছে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স

  •    
  • ২৩ জুন, ২০২১ ২০:৫৯

২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স এই সময়ে মোট প্রিমিয়াম আয় করেছে ৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে যা ছিল ৩৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। কর দেয়ার পর ২০১৯ সালে আয় হয় ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে যা ছিল ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন পেল ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এর মাধ্যমে গত ছয় মাসে তিনটি বিমা কোম্পানির অনুমোদন দিল বিএসইসি।

কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ৯০৪টি শেয়ার ছেড়ে মোট ১৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৪০ টাকা তুলবে।

বুধবার কোম্পানিটির এ-সংক্রান্ত আবেদন অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

পরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা টাকায় ফিক্সড ডিপোজিট, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, ফ্লোর কিনবে কোম্পানিটি। এ টাকা থেকেই মেটানো হবে আইপিওর ব্যয়ও।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত আর্থিক বছরের নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দেখানো হয়েছে ৯৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ১৬ টাকা ০২ পয়সা।

বিএসইসি জানায়, ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমে কোম্পানিটির সাধারণ শেয়ারের চাঁদা গ্রহণ শুরুর অন্তত পাঁচ দিন আগে থেকে এলিজিবল বা যোগ্য ইনভেস্টরদের হিসাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ থাকবে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বীকৃত পেনশন ফান্ড ও স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিনিয়োগ থাকতে হবে ৫০ লাখ টাকা। আর অন্য এলিজিবল ইনভেস্টরদের থাকতে হবে এক কোটি টাকার বিনিয়োগ।

ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ২০০০ সালের ২৪ আগস্ট থেকে দেশে বিমা ব্যবসার শুরু করে। নিয়মানুযায়ী বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে বিমা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আসতে হয়, না হলে প্রতিদিনের দেরির জন্য গুনতে হয় জরিমানা।

কিন্তু ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের সময় লেগে গেল ২০ বছর। বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ইডরা) কাছে সময় চেয়ে সময়ক্ষেপণ করেছে কোম্পানিটি।

২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স এই সময়ে মোট প্রিমিয়াম আয় করেছে ৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে যা ছিল ৩৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। কর দেয়ার পর ২০১৯ সালে আয় হয় ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে যা ছিল ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হলে বিমা কোম্পানিগুলোর সনদ বাতিল করা হবে। ওই হুঁশিয়ারির দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও বাজারে এসেছে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সসহ মাত্র তিনটি কোম্পানি।

এর আগে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর অনুমোদন দেয়া হয় দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, যা ২৯ মার্চ থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন হচ্ছে।

একই বছরের ৯ ডিসেম্বর অনুমোদন দেয়া হয় সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের, যার মাধ্যমে আনুপাতিক হারে শেয়ার বণ্টনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। কোম্পানিটি আগামী ৩ জুলাই থেকে লেনদেন শুরু করবে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর আহমেদ পল্টু ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন।

বর্তমানে দেশে জীবন ও সাধারণ বিমা মিলিয়ে ৭৮টি বিমা কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫০টি। বাকি ২৮টি এখনও তালিকাভুক্ত হয়নি। ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স তালিকাভুক্ত হওয়ার পর পুঁজিবাজারে বিমা কোম্পানির সংখ্যা হবে ৫১টি।

এ বিভাগের আরো খবর