আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের অভিযোগে জেরার মুখে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই ডেপুটি গভর্নর সীতাংশ কুমার চৌধুরী (এস কে সুর) ও এস এম মুনিরুজ্জামান। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার দুজনকে তলব করে অনিয়ম-দুর্নীতি অনুসন্ধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গঠিত ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’।
প্রথম দফায় দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এস কে সুর চৌধুরীকে। বেলা ২টার দিকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুর চৌধুরী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সব মিথ্যা। আমার যা বলার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে বলেছি।’
এর পরপরই আর কোনো কথা না বলে দ্রুত গাড়িতে উঠে বাংলাদেশ ব্যাংক ত্যাগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় বেলা ১১টায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তদন্ত কমিটি।
কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান এ জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে যা বলার মুখপাত্র বলবেন।’
বিকেলে সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মুনিরুজ্জামানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলমসহ সাবেক ও বর্তমান ব্যাংকার, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেছে। কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও সাক্ষাৎকার নিয়েছে তারা।
মূলত বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) আর্থিক অনিয়মে জড়িতদের খোঁজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটি। তারা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মও খতিয়ে দেখছে।
সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও বর্তমান নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠার পর আদালতের নির্দেশে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ কমিটির প্রধান ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খান। কমিটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা ছাড়াও রয়েছেন সাবেক বিচারক ও আমলারা।
আগামী মাসে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে গভর্নরের কাছে জমা দেয়ার কথা রয়েছে।