যশোরের বেনাপোল বন্দর এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ফের পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিসহ কয়েকটি কারণে গত বুধবার থেকে বন্ধ ছিল পাথর আমদানি।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, পাথর আমদানির যেসব গাড়ি ভারত থেকে আসে সেগুলো বন্দরের বাইরে আনলোড করা হচ্ছিল।
এসময় ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার ও সহযোগীরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঘুরে বেড়াতেন। তাদের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ বাড়ার সম্ভবনা থাকায় পাথরের গাড়ি বন্দরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়।
এ দিকে বন্দরের বাইরে বেনাপোল পৌর ট্রাক টার্মিনাল ও বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনে ট্রাক প্রতি ১০০ টাকা করে চাঁদা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছিল ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ভারতীয় ট্রাক ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না বলে তারা মনে করেন। এ নিয়ে দুইদেশের ব্যবসায়ীদের সম্পর্কের টানাপোড়েনে সাময়িক সংকট তৈরি হয়।
বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার থেকে শর্তসাপেক্ষে ফের পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। তবে ভারতীয় গাড়ি সরাসরি বন্দরে খালাস করা হবে না। পাথরবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশি ড্রাইভাররা নিয়ে যাবেন ফাঁকা জায়গায়। সেখানে পাথর আনলোড করার পর গাড়ি ফেরত দেয়া হবে। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে ১০০ হতে ১২০ ট্রাক পাথর আমদানি হয়।
বেনাপোলের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, পাথরবোঝাই ভারতীয় ট্রাক বন্দর হয়ে বাইরে গেলে ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনকে ১০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হতো। পৌর ট্রাক টার্মিনাল চালু হওয়ার পর বন্ধ হয়ে গেছে ট্রান্সপোর্টের চাঁদা। কিন্তু বন্দরের বাইরে পাথর আনলোড করতে গিয়ে ফের আলোচনায় আসে চাঁদার বিষয়টি। এসব নিয়ে জটিলতায় ভারত থেকে পাথর আমদানি বুধবার থেকে বন্ধ হয়ে যায়।
ভারতের পেট্রাপোল স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বলেন, ‘বেনাপোল বন্দর এলাকায় দুটি সংস্থার বিরোধে ভারত থেকে পাথর নেয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরের উদ্যোগে আবার তা চালু হয়েছে।’
বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি পরিচালক মামুন তরফদার জানান, বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটের কারণে ভারত থেকে আমদানি করা পাথর বন্দর এলাকার পাশেই আনলোড করা হচ্ছিল। সেখানে আমদানিকারকের নিজস্ব জায়গায় পাথর আনলোড করার কাজ চলে। কিন্তু ভারতীয় ড্রাইভার ও সহযোগীরা সেখানে গেলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। এখন বন্দর এলাকা থেকে ভারতীয় পাথরবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশি ড্রাইভাররা নিয়ে যাবেন আমদানীকারকের জায়গায়। এভাবে পাথর আনলোড করার শর্তে ফের আমদানি শুরু হয়েছে।