প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কল্যাণে গঠিত বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে আড়াই হাজার শ্রমিক এবং তাদের স্বজনদের প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা অর্থসহায়তা দিচ্ছে সরকার।
রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনে সোমবার বিকেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ফাউন্ডেশন তহবিলের বোর্ড সভায় ২ হাজার ৫৩১টি আবেদনে সহায়তার অনুমোদন দেয়া হয়।
শ্রম আইনের আলোকে গঠিত তহবিলে দেশি-বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলে ২০৩টি কোম্পানির লভ্যাংশের ৫৫০ কোটি টাকা জমা হয়েছে।
২০২০ সালের অক্টোবর থেকে এ বছরের মে পর্যন্ত তহবিল থেকে সহায়তার জন্য ১৩৮ জন শ্রমিকের মৃত্যুজনিত কারণে তাদের পরিবার, চিকিৎসা সহায়তার জন্য ২ হাজার ১৩৪ জন এবং শ্রমিকের সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্য ২৫৯ জন আবেদন করেন।
প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ১৩৮ জন শ্রমিকের মৃত্যুজনিত কারণে ৬২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ২ হাজার ১৩৪ জন শ্রমিকের চিকিৎসার জন্য ৮ কোটি ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং শ্রমিকের ২৫৯ জন সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তার জন্য ৮০ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
শিগগিরই আবেদনকারীদের সহায়তা দেয়া হবে বলেও বৈঠক থেকে জানানো হয়েছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘করোনা মহামারির এ সময়ে এ সকল শ্রমজীবী পরিবার আমাদের এ তহবিল থেকে সহায়তা পেলে তাদের অনেক বড় উপকার হবে। শ্রম মন্ত্রণালয় শ্রমিক কল্যাণ তহবিল নিয়ে সব সময় অসহায়দের পাশে আছে, থাকবে সব সময়।’
অনুমোদিত সহায়তার অর্থ যাতে দ্রুত শ্রমিকদের হাতে পৌঁছানো হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
বোর্ড সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত সচিব রেজাউল হক, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক জেবুন্নেসা করিম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমারসহ ফাউন্ডেশনের বোর্ডের সদস্য এবং মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত অধিদপ্তর ও সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা অংশ নেন।