করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় ব্যাংকগুলোর করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে বরাদ্দের ৫০ শতাংশ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে ব্যয়ের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব তফসিলী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সম্প্রতি করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণশীল ভারতীয় ধরন দেশের সীমান্তবর্তী জেলা বিশেষত, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। উক্ত অঞ্চলের দরিদ্রদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বাড়ছে।
বিভিন্ন ব্যাংক দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিজেদের সক্ষমতা ব্যবহার করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সিএসআর কার্যক্রম পরিচালনা করতে আগ্রহী বলে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল এক নির্দেশনায় সিএসআরের বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ওই সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকগুলোকে ২০২০ সালের নিট মুনাফার এক শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ সিএসআর খাতে ব্যয় করতে হবে।
এ লক্ষ্যে ব্যাংকগুলো ২০২০ সালের নিরীক্ষিত (হিসাব বিবরণী চূড়ান্ত না হওয়ার ক্ষেত্রে অনিরীক্ষিত) হিসাব অনুযায়ী যে পরিমাণ নিট মুনাফা অর্জন করেছে তার এক শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ সিএসআর খাতে বরাদ্দ করবে।
এ অর্থ ২০২১ সালের সিএসআর খাতের বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের অতিরিক্ত হিসেবে বরাদ্দ দিতে হবে। প্রয়োজনে স্ব স্ব পরিচালনা পর্ষদ হতে এর অনুমোদন নিতে হবে।
নতুন নির্দেশনায় রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বিশেষ এ অর্থের ৫০ শতাংশ ব্যয় করতে বলা হয়েছে।
সোমবার জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, বিশেষ সিএসআর খাতে বরাদ্দের ৫০ শতাংশ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোতে ব্যয় করতে হবে। বাকি ৫০ শতাংশ আগের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য সিটি করপোরেশন বা জেলা বা উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যয় করতে হবে।
ইতিমধ্যে বিশেষ সিএসআর খাতে বরাদ্দের ৫০ শতাংশের বেশি অর্থ রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলের বাইরে ব্যয় করা হয়ে থাকলে অবশিষ্ট সম্পূর্ণ অর্থ রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলে ব্যয় করতে হবে।
কার্যক্রম সম্পাদনের সুবিধার্থে জেলা প্রশাসক বা এনজিও বা এমএফআই এর পাশাপাশি ব্যাংকগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেও বিশেষ সিএসআর কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। এই কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রেও আলাদা হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে।
বরাদ্দকৃত অতিরিক্ত অর্থ ১৬ আগস্টের মধ্যে ব্যয় করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত বাস্তবায়ন প্রতিবেদন ৩১ আগস্টের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপকের কাছে দিতে হবে।