পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ারধারীদেরকে ১০ শতাংশ বোনাস অর্থাৎ প্রতি ১০টি শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।
ব্যাংকটি সবশেষ ২০১৮ সালে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল। ২০২০ সালে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তির কারণে সেটি আর বিতরণ করা যায়নি।
এবারও ব্যাংকটি লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে না বলে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকাং সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। তবে ব্যাংকটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন তারা লভ্যাংশ দিতে পারবেন।
পরিচালনা পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি ৪৯ পয়সা মুনাফা করেছে। এটি আগের বছরের চেয়ে বেশ কম।
২০১৯ সালে ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি এক টাকা ৩৮ পয়সা মুনাফা করেছিল।
এই ব্যাংকটি নিয়ে লভ্যাংশে অনিশ্চয়তার কারণে এক পর্যায়ে দাম কমে ২২ টাকা ১০ পয়সায় দাঁড়ায় গত ৪ মে। তবে এরপর থেকে বাড়তে থাকে।
গত ৮ জুন থেকে শেয়ার দরে দেখা দেয় উল্লম্ফন। টানা চার দিন দাম বেড়ে ২৮ টাকা থেকে ৩৮ টাকা ৫০ পয়সায় পরিণত হয় ১৫ জুন। এরপর দুই দিন সামান্য কমলেও ২০ জুন দাম আবার বেড়ে হয় ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা। তবে লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ব্যাংকটি দর হারায় ২ টাকা ২০ পয়সা বা ৫.৫৩ শতাংশ।
১৯৮৬ সালে তালিকাভূক্ত ব্যাংকটির ৯০.১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সরকারের হাতে। ৪.৯০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এবং ৪.৯১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই ব্যাংকটির আর্থিক ভিত্তি বেশ দুর্বল। তাদের মোট ঋণ ৩২ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
তবে ডিসেম্বরের চেয়ে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তখন ব্যাংকটিকে খেলাপি ঋণ ছিল ৩ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ ছিল খেলাপি।