বর্তমানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের নতুন উদ্যোক্তাদের কোনো কর অবকাশ সুবিধা নেই। টেকসই শিল্পোন্নয়ন ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে এসএমই খাতের সব নতুন উদ্যোক্তাকে ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন।
রোববার বাজেট-পরবর্তী পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব দেয় ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান প্রস্তাবিত বাজেটে এসএমই খাতের উদ্যোগ নিয়ে ফাউন্ডেশনের মূল্যায়ন তুলে ধরেন।
এ সময় এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে ১৪টি এসএমইবান্ধব প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে বাজেট পাসের আগে এসএমইবান্ধব আরও পাঁচটি প্রস্তাব বিবেচনার দাবি রাখে। এ উদ্দেশ্যে আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই প্রস্তাবগুলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে পাঠানো হবে।
প্রস্তাবগুলো হচ্ছে: এসএমই খাতের নতুন উদ্যোক্তাদের ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা দেয়া যেতে পারে। এ ছাড়া, বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত হলে ৪ শতাংশ টার্নওভার কর আরও কমানো প্রয়োজন।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমানে এসএমইসহ সব রপ্তানিকারক শিল্পের জন্য করপোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ। যদিও তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর নিম্নতর হার নির্ধারণ করা আছে। এসএমই রপ্তানিকারকদের জন্য করপোরেট ট্যাক্স আরও কমানোর সুপারিশ করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
বলা হয়েছে, এসএমই রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের জন্য রপ্তানির বিপরীতে ন্যূনতম ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রদান করা যেতে পারে।
এ ছাড়া, সরকারি প্রতিষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য বা সেবা এসএমইদের থেকে কেনা নিশ্চিতকরণ এবং এসএমইদের থেকে নির্দিষ্ট কিছু পণ্য বা সেবা কেনার জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুদুর রহমান জানান, ফাউন্ডেশনের উদ্যোগের ফলে এসএমই খাতের উন্নয়নে সরকারের নজর আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এর ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পক্ষে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সহজতর হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের বিশেষ প্রণোদনার প্যাকেজের মধ্যে চলতি জুন মাসের মধ্যে অর্থাৎ দুই মাসেরও কম সময়ে ১০০ কোটি টাকা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করতে সক্ষম হবে এসএমই ফাউন্ডেশন।