লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প বা হালকা প্রকৌশল পণ্য উৎপাদনের খাতকে রপ্তানিমুখী করা সম্ভব হলে দেশে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রোববার ‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময় খাত। সরকার এ খাতটিকে রপ্তানিমুখী করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানান মন্ত্রী।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির উদ্যোগে রোববার ভার্চুয়াল পরামর্শক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
কর্মশালায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী বাহিনী তৈরির মাধ্যমে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য বহুমুখীকরণের ফলে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারিত হবে। তবে এর জন্য সরকারি উদ্যোগে সম্পৃক্ত হতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, সম্ভাবনা বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকে ‘বর্ষপণ্য-২০২০’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। দেশের অভ্যন্তরে এ খাতের বড় বাজার গড়ে উঠেছে। বিদেশেও হালকা প্রকৌশল পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে খাতটির উদ্বৃত্ত পণ্য বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। সেদিন বেশি দূরে নয়।
পরামর্শক কর্মশালায় বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান ছাড়াও শিল্প মালিক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. আব্দুল রহিমের সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক।