ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে একই ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ৬৩৭ গ্রাহকের ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।
২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন এটিএমের ইলেকট্রনিক জার্নাল পরিবর্তন করে ১ হাজার ৩৬৩টি লেনদেনে এসব টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের একটি দল।
ডিবি জানায়, জালিয়াতির মাধ্যমে এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন চক্রের ছয়জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সায়মা আক্তার, আল-আমিন বাবু, মেহেদী হাসান মামুন ও আসাদুজ্জামান আসাদ।
জালিয়াতির এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এডিসি ডিভিশনের সিনিয়র অফিসার মীর মো. শাহারুজ্জামান রনি দেশের বাইরে পালিয়েছেন বলে জানায় ডিবি।
টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলার পর তদন্ত শুরু করে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
জালিয়াতি করে এটিএম বুথ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার একটি চক্রের কয়েক সদস্য। ছবি: সংগৃহীততাদের অনুসন্ধান ও গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এডিসি ডিভিশনে সিনিয়র অফিসার হিসাবে মীর মো. শাহারুজ্জামান রনি এই পদে কর্মরত থেকে তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রী সহ অন্যান্য গ্রেপ্তার সহযোগীদের দিয়ে এটিএম বুথে লেনদেন করাতেন লেনদেনের পর এটিএম এর ইলেকট্রনিক জার্নাল এমনভাবে পরিবর্তন করে দিতেন যাতে পরবর্তী সময়ে এটিএম থেকে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়।
হাফিজ আক্তার বলেন, ‘ডাচ্বাংলা ব্যাংকের এটিএম মনিটরিং রোস্টার টিমে কর্মরত থাকা অবস্থায় রনি উপস্থিত থেকে এবং কৌশলের মাধ্যমে বিভিন্ন এটিএমের ইলেকট্রনিক জার্নাল পরিবর্তন করে ৬৩৭টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৬৩টি লেনদেন হয়।
এর মাধ্যমে জালিয়াতরা ২ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। বর্তমানে রনি দেশের বাহিরে আত্মগোপনে আছে। তাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।’