বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এসডিজি বাস্তবায়নে সবার ওপরে বাংলাদেশ

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২১ ০০:০২

‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট ২০২১’ এ গত পাঁচ বছরের মূল্যায়নে বলা হয়েছে, করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ, আইভরি কোস্ট এবং আফগানিস্তান জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি বাস্তবায়নে ভালো করছে।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সবচেয়ে ভালো করা দেশ বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে সেরা তিন দেশের মধ্যে অন্য দুটি দেশ পশ্চিম আফ্রিকার আইভরি কোস্ট ও এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান।

এক বছরেরও বেশি সময় চলা করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও এসডিজি বাস্তবায়নে এই তিনটি দেশ ভালো করেছে।

‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট ২০২১’ তে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ৫ বছরের এ মূল্যায়নের ভিত্তিতে সোমবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা সব দেশের টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে। ২০১৫ সালে এই বাস্তায়ন কর্মসূচি হাতে নেওয়ার পর ২০২০ সালের আগের বছরের চেয়ে বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে; এর আগে কখনও এমনটি হয়নি।

অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশ– এই তিন ক্ষেত্রে এসডিজি বাস্তবায়নে করোনার ধাক্কা লেগেছে। বিশ্বব্যাপী টিকা-সুবিধা না পাওয়া পর্যন্ত এই ধাক্কা সামলে ওঠা কঠিন হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্থিক দৈন্যের কারণে স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলআইডিসি) মহামারির সংকট কাটিয়ে উঠতে পারছে না। অন্যদিকে উন্নত দেশগুলো অঢেল অর্থ ব্যয় করে দ্রুত এই সংকট থেকে বের হয়ে আসছে। সব মিলিয়ে কম আয়ের দেশগুলো কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছে।

এর মধ্যেও বাংলাদেশ, আইভরি কোস্ট এবং আফগানিস্তান জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি বাস্তবায়নে ভালো করছে বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্য অঞ্চলের দেশগুলোর চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এসডিজি বাস্তবায়নে ভালো করেছে। এর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে বাংলাদেশ। এরপর আইভরি কোস্ট ও আফগানিস্তান।

এই তিনটি দেশ এসডিজির সবগুলো সূচকেই উন্নতি করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০৩০ সালকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণের সময়সীমা ধরে নেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এর কার্যক্রম শুরু। এখানে লক্ষ্যমাত্রা আছে ১৭টি। সেগুলো হচ্ছে, দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুধামুক্তি, খাদ্যনিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টির লক্ষ্য অর্জন, টেকসই কৃষিব্যবস্থা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা, সব বয়সের সবার কল্যাণে কাজ করে যাওয়া, অন্তর্ভুক্তি ও সমতাভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা, আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা, লিঙ্গসমতা অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি।

এ বিভাগের আরো খবর